মিরপুর থেকে : ১৬ থেকে ৪। ১৬টি দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু।
বৃহস্পতিবার মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। র্যাংঙ্কিয়ের আটের মধ্যে থাকায় বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি ক্যারিবিয় ও লঙ্কানদের। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসর বাদে সব আসরেই পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে তারা। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে, এরপর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ আসরেও দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে ভারতের স্পিন শক্তির কাছে নুয়ে পড়ে। ভারত তাদের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয় পায়। প্রথম ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি স্যামির দল। পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ডেথ গ্রুপের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৩ রানের বিশাল জয় পায় ক্যারিবিয়রা।
জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখে পরের ম্যাচেও। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ছয় উইকেটে জয় পায় তারা। গেইল, ব্রাভো ও স্যামির নিখুত ব্যাটিংয়ে দুই বল বাকি থাকতেই অসিদের হারায় তারা। সেই ম্যাচে জিতে গেইল, স্যামিদের আনন্দ উল্লাসের নাচ দেখে মনে হয়েছিলো যেনো তারা সেমিফাইনালে উঠে গেছে। কিন্তু তখনও পাকিস্তানের সঙ্গে ডু অর ডাই ম্যাচের বাকি ছিলো।
মঙ্গলবার পাকিস্তানকে নতুনভাবে টি-টোয়েন্টি শিখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্যামিরা সতেরো ওভারে ১০৭ রান করলেও শেষ তিন ওভারে করে ৫৯ রান। যারফলে পাকিস্তান বিশাল রানের চাপে পড়ে। সুনীল নারাইন, স্যামুয়েল বদ্রির মতো শক্তিশালী স্পিনারদের কাছে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রানের জয় পেয়ে সেমিতে উঠে তারা।
লঙ্কারনরা সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাঁচ রানে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড গড়েন লঙ্কানরা। মাত্র ১০.৩ বল করে ৩৯ রানে নেদারল্যান্ডের সবকটি উইকেট তুলে নেন। নয় উইকেটে জয় পায় তারা। তৃতীয় ম্যাচে ১৮৯ রানের পাহাড় গড়লেও ইংল্যান্ডের কাছে ছয় উইকেটে হারে চান্দিমাল বাহিনী। শেষ ম্যাচে ১১৯ রান করলেও হেরাথের বলে ৬০ রানে খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয়ে সেমিতে উঠেছে তারা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১৯ মার্চ প্রস্তুতি ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩৩ রানের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড সমৃদ্ধ নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দু’দল মোট পাঁচবার একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে। তাতে জয়ের পাল্লা ভারী লঙ্কানদেরই। শ্রীলঙ্কার ৪ জয়ের বিপরীতে, ক্যারিবীয়দের জয় ১ ম্যাচে। দু’দলই টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক হবার গৌরব লাভ করেছে। একই সঙ্গে ফাইনালে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। এর মধ্যে লঙ্কানরা আবার দু’বার ফাইনাল খেলেছে। আর ক্যারিবীয়দের সুযোগ হয়েছে একবার।
এখন দেখার অপেক্ষা বল-ব্যাট ও স্পিন ঘূর্ণিতে কে কাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ২ এপ্রিল ২০১৪