মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম থেকে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র ভারতই অপ্রতিরোধ্য দল। যারা সুপার টেনের লড়াইয়ে কোন প্রতিপক্ষের কাছে নতজানু হয়নি।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুমহাদেশের দুই ’শক্তিধর দল আগামীকাল খেলবে। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছে। ভারতের পাঁচ জয়ের পাশাপাশি প্রোটিয়াদের জয় দুইটি।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসেন ভারতের অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চারটি জয়ের পরও নিজেদের ফেবারিট মানতে নারাজ তিনি। আমাদের তাড়াহুড়া নেই। আমরা বড় কোনো প্রতিযোগিতায় হারিনি। এই টুর্নামেন্টে আমরা ফেভারিট হিসেবে কখনোই আসি নি। আমরা ফেভারিটের তকমা গায়ে মাখতে চাই না। আমরা শুধু এগিয়ে যেতে চাই।
আমি মনে করি, ভালো বোলিং আমরাও ধরে রাখতে পারব। তবে দূর থেকে জানি না, তারা দুই স্পিনারও খেলাতে পারে। আমি মনে করি, ফানগিসো অবশ্যই আসবে।
ঢাকায় পিচে কেমন সুবিধা পাবে ভারত? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই গ্রাউন্ড এবং পিচ থেকে কি আশা করা যায়, তা আমরা জানি। যেহেতু এটা সেমিফাইনাল যে কেউ ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে পারে। আপনি অবশ্য বলবেন না যে আমরা বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি। ’
ওয়ার্নকে দক্ষিণ আফ্রিকান ম্যানেজম্যান্ট ডেকেছে। এতে সম্ভবত তার কাছ থেকে ইমরান তাহির কোনো কিছু শিখেছে মনে করছেন অশ্বিন।
নিজেদের শীর্ষে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরো বছর ধরে আমরা খারাপ ক্রিকেট খেলছি না। তবে যদি কোনো টুর্নামেন্টের শুরুতে ভালো করা যায় তাহলে বড় পর্যায়ে যাওয়া যায়। এখানে আমাদের শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ আছে।
ভারতের স্পিনার বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানসম্পন্ন স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্যটা খুবই কম। প্রত্যেকেই মানতে বাধ্য, তাদের নির্দিষ্ট কিছু মান রয়েছে। মানসিক দিক থেকেই পার্থক্য তৈরি হয়। ইমরান তাহির ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে। আমি আশা করি, ফানগিসোও খেলবে। দু ’দলের স্পিনাররা খেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ৩ মার্চ ২০১৪