ঢাকা: ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে ছেলেদের মতো মেয়েদের অঙ্গনেও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ঐতিহাসিক লড়াইয়ের এই লড়াকুরা আবারও মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বমঞ্চে।
মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুদলই শক্ত প্রতিপক্ষ। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করা হচ্ছে।
ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট লড়াই হয়েছে ৪৭ বার। ১১টি জয় পেয়েছে অসিরা, হেরেছে ৯টিতে। আর ড্র ২৭ ম্যাচ।
ওয়ানডেতেও দুদলের মেয়েরা মুখোমুখি হয়েছে ৬৮ বার। এখানেও এগিয়ে অসিরা। ৪৫ ম্যাচ জয়ের বিনিময়ে হেরেছে ১৯ ম্যাচ। একটি অমীমাংসিত থেকেছে।
তবে টি-টোয়েন্টিতে ভালো স্মৃতি নেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে অসিদের। ২০০৫ সাল থেকে ২০ ম্যাচ খেলে ১২টিতে হেরেছে তারা, আর জয় পেয়েছে সাতটি। একটি হয়েছে টাই। অবশ্য সর্বশেষ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাটিতে ২-১ এ সিরিজ জিতেছিল।
এবারের আসরেও দুদল সমানে সমান। ফাইনালের পথে একটি করে ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। দলের মূল ভরসা নিজ দলের অধিনায়করা। মেগ ল্যানিং ও শার্লট এডওয়ার্ডস ব্যাট হাতে প্রতি ম্যাচেই রান পাচ্ছেন। অসি অধিনায়ক ল্যানিং (২১৩) পাঁচ ম্যাচে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় সেরা। আর শার্লট একটি হাফ সেঞ্চুরিতে ১৮৭ রান নিয়ে চতুর্থ সেরা ব্যাটার।
ইংল্যান্ডের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটার সারাহ টেলর ও অস্ট্রেলিয়ার এলিসে ভিলানি। তবে বল হাতে দারুণ পারফরমেন্স ইংলিশদের এগিয়ে রাখছে। ডানহাতি পেসার আনিয়া শ্রুবসোল ১২ উইকেট নিয়ে এখন সবার উপরে। শীর্ষ পাঁচে আরও তার সঙ্গী সতীর্থ পেসার নাতালি শিভার।
অসিদের পক্ষে সারাহ কোয়েত পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ছয় উইকেট। সমান উইকেট পেয়েছেন এলিসে পেরি ও জেস জোনাসেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ থামিয়ে দিতে তাই বিশেষ ছকই আঁকতে হচ্ছে অসি বোলিং বিভাগদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল ২০১৪