করাচি: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান নাজাম শেঠী জানিয়েছিলেন, মোহাম্মদ আমিরের শাস্তি অন্তত এক বছর কমিয়ে আনতে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। এ বছরের শেষেই পাকিস্তানি পেসারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাতে আইসিসির কাছে জোরালো সুপারিশ করেছেন বোর্ড প্রধান।
২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হন পাকিস্তানের তিন তারকা ক্রিকেটার। বাট ছিলেন ওই ম্যাচের অধিনায়ক। প্রমাণ শেষে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাদের। এক বছরের জন্য জেলও খেটেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর।
কিন্তু বয়স কম হওয়ায় আমিরের শাস্তি কমিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বোর্ডের বর্তমান কর্মকর্তারা। জুনের বোর্ড সভায় সংশোধিত আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নিচ্ছেন শেঠী। শোনা গেছে, যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আইনজীবীরাও বোর্ড প্রধানকে জানিয়েছেন বাট ও আসিফের মামলাও ওতটা শক্ত নয়।
লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাট বললেন,‘আমি চাইব, আমিরের জন্য উনি (শেঠী) যা করছেন, নিষিদ্ধ অন্য খেলোয়াড়দের জন্যও সেটা করা উচিত। আমিরকে পাকিস্তানের প্রয়োজন। আমিও তাকে অনেক শুভকামনা জানাই। কিন্তু আমার মনে হয় অন্য খেলোয়াড়রাও একই আচরণ পাবে। ’
এছাড়া পুনর্বাসনসহ পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার বেলাতেও উপেক্ষিত থাকছেন বাট। এধরনের কোনো আয়োজন এখনও চোখে পড়েনি তার,‘অন্তত ১০ বার আমি পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলাম, কিন্তু সবসময় উনি বলেছেন বোর্ড আমাকে জানাবে। মানুষ ভুল করে, কিন্তু একবার শাস্তি পাওয়ার পর আবারও তাদের নতুন জীবন শুরু করতে দেওয়া উচিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ১৩ এপ্রিল ২০১৪