গত ২২ মে ম্যানচেস্টারে কনসার্টে বোমা হামলার জেরে হিথ্রোতে কি প্রভাব ভাবতে ভাবতে প্রায় দশ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ হয়ে এলো। হিথ্রো বিমানবন্দরে নেমে সেই ভাবনা কিছুক্ষণের জন্য কোথায় যে উড়ে গেলো!
কতো বড় বিমানবন্দর! কতো শত দেশের প্লেন রানওয়েতে দাঁড়িয়ে আছে।
হিথ্রো’র বিশালতা দেখতে দেখতে টার্মিনালে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো বিশাল দেহী ব্রিটিশ পুলিশদের পাহারা। ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক নারী পুলিশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আলাদা হয়ে যেতে বললেন।
অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে পাসপোর্ট বের করে এগিয়ে গিয়ে আমার প্রশ্নকারীর সামনে রাখতেই তিনি বেশ কয়েকবার নিখুঁতভাবে উল্টিয়ে দেখলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক নারী কর্মী। তারা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কি যেন বলছেন।
আমার পাসপোর্টের প্রতিটি পাতা উল্টে-পাল্টে দেখার পর শুরু হল প্রশ্ন পর্ব। তারা দুজন মিলে প্রায় মিনিট দশেক আমাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করলেন। অথচ শুরুতেই তাদের বলেছি, আমি একজন ক্রীড়া সাংবাদিক। এসেছি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সংবাদ সংগ্রহ করতে। তারা সব শুনে, বুঝেও যেন কিছুই শোনেননি ও বোঝেননি। অথচ অন্যান্য দেশের যাত্রীদের কোনো প্রশ্নই করলেন না।
এভাবে এলোমেলো প্রশ্নের তীর ছোঁড়ার পর তারা আমাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। আর তাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে আমিও আমার প্রাথমিক গন্তব্য মিডলসবার্গ চলে এলাম।
স্থানীয় সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ২৫ মে, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস/