ভিক্টোরিয়া রেলস্টেশন ও পাশের প্রতিটি দালানই বেশ গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যে ভরা। সঙ্গে ব্রিটিশ ঐতিহ্যতো আছেই।
রানি ভিক্টোরিয়ার মূর্তি খচিত রেলস্টেশন ভবনটি ১৮৫৮ সালের ২৭ মার্চ নির্মিত। ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি অনেক যত্নে রক্ষণাবেক্ষণ করছেন ব্রিটিশরা। ভবনের প্রতিটি বারান্দা থেকে রানি ভিক্টোরিয়া যেন গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের দেখছেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এই দাপুটে নারীকে অবাক চোখে দেখছেন দর্শনার্র্থীরাও। স্টেশনের আশেপাশের সবগুলো ভবনও এমন গুরুগম্ভীর আভিজাত্য বহন করছে। চকচকে-ঝকঝকে রাস্তাগুলো ব্রিটিশদের কৌলিণ্যেরই জানান দেয়।
ভিক্টোরিয়া লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলস্টেশন। লন্ডন থেকে গ্রেট বিটেনের যেকোনো শহরে যেতে এখানেই সবাই ভিড় করেন। এখান থেকে ট্রেনে চড়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছান।
আমিও সে দলেরই একজন। আমার পরের গন্তব্য লেস্টার সিটি। তবে লেস্টারের উদ্দেশ্যে ট্রেন না ধরে সিদ্ধান্ত নিলাম বাসে ভ্রমণের।
এবার রেলস্টেশন চত্বর ধরে ছয় মিনিট হেঁটে যেতে হল বাসস্টেশনে।
লেস্টারের উদ্দেশ্যে আমার বাস যথাসময়েই ছাড়লো। বাসের ভেতর থেকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, একটি জাতি কতোটা রুচিশীল হলে এমন ভবন ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে পারে। এভাবে দেখতে দেখতে ঘণ্টাখানেক সময় পর আমার বাস উঠে এল হাইওয়েতে। পেছনে পড়ে রইলো লল্ডন। আর আমি ছুটে চলেছি আমার গন্তব্যের দিকে, মিশনে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এইচএল/এএসআর