ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অ্যাকশন শোধরাতে প্রয়োজনে একবছর ম্যাচ থেকে দূরে থাকবো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৭
অ্যাকশন শোধরাতে প্রয়োজনে একবছর ম্যাচ থেকে দূরে থাকবো সঞ্জিত সাহা। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম থেকে: জাতীয় দলের সঙ্গে চট্টগ্রাম ক্যাম্পের অনুশীলনে তার হঠাৎ ডাক পড়া নাথান লায়ন ভাবনা মাথায় রেখে। অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনারকে সামলানো সহজ করতেই মুশফিক-তামিমদের বিপক্ষে তাকে অনুশীলনে নামিয়ে দেওয়া। তবে সঞ্জিত সাহা শুধু ‘নেট বোলার’ পরিচয়ে আটকে থাকবেন কেনো?

একসঙ্গে জাতীয় দলের সব কোচকে কাছে পেয়ে, জাতীয় দলের সবার বিপক্ষে বোলিং করতে করতে শিখতে চান প্রচুর, কাজে লাগাতে চান সুযোগটাও। আর অবশ্যই পরামর্শ নিতে চান-উজ্জ্বল ক্যারিয়ার আটকে রাখা বোলিং অ্যাকশন সমস্যাটা শোধরাতে কি কি করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিন রোববার সকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন বিরতিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের এই উঠতি অফ স্পিনার।

জাতীয় দলের অনুশীলনে আপনি? এই সুযোগটাকে কিভাবে নিচ্ছেন-সঞ্জিত সাহার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আমি চাই সুযোগটা কাজে লাগাতে। আর ভুলগুলো শুধরাতে। ’

জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে এবারই প্রথমবার যোগ দিলেন তা নয়। এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজের সময়ও তিনদিনের অনুশীলনে জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি।   তবে এবারেরটা সাতদিনের।

সঞ্জিত সাহা বলেন, ‘আমাকে এখানে অনুশীলনের জন্য আনা হয়েছে। এখানে আমার কাজ হলো জাতীয় দলকে সাহায্য করা। আমি সেই বিষয়টিই করবো। পাশাপাশি সুযোগ যেহেতু পেয়েছি এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। ’মোস্তাফিজের সঙ্গে সঞ্জিত সাহা

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আটটি ম্যাচ বেশ ভালোভাবে কাটিয়ে দিতে পারলেও নবম ম্যাচে এসে বোলিং অ্যাকশনের জন্য অভিযুক্ত হন সঞ্জিত সাহা। এর আগে গত বছর দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপও খেলা হয়নি তার।   তাই ক্যারিয়ারকে বারবার থমকে দেওয়া এই সমস্যা একেবারেই কাটিয়ে মাঠে ফিরতে চান এই তরুণ।

‘আসলে আমি অ্যাকশন শোধরানোর জন্য বেশি সময় পাইনি। প্রতিবারই এক দু মাস অনুশীলন করার পর হয় প্রিমিয়ার লিগ চলে আসে, না হয় জাতীয় লিগ। তাই সময় নিয়ে অ্যাকশন শোধরানো হয়নি। এখন স্যারদের সঙ্গে কথা বলছি। কি করলে ক্লিয়ার হবে অ্যাকশন তা নিয়ে ভাবছি। এজন্য লম্বা সময় নিয়ে কাজ করতে চাই। প্রয়োজনে একবছর যদি স্টপও থাকি, প্রিমিয়ার লিগ-জাতীয় লিগ না খেলি। তবে এটা স্যাররাই ভালো বুঝবেন। তারা যেটি বলবেন সেটিই হবে। ’-বলেন সঞ্জিত সাহা।

অ্যাকশন নিয়ে বিভ্রান্তির এই সময়ে মানসিকভাবে শক্ত থাকাটাই জরুরি মনে করছেন এই তরুণ। বলেন, মানসিকভাবে শক্ত থাকতে চাই। আর পরিবার থেকে সবসময় সাপোর্ট পাই। আমার মা-বাবাসহ সবাই এবং স্যাররাও অনেক সাপোর্ট করেন।  

সঞ্জিতের সঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে খেলা মেহেদি হাসান মিরাজ, সাইফুদ্দিন, শান্ত ইতিমধ্যেই গায়ে জড়িয়েছেন জাতীয় দলের জার্সি।   এই কিছুদিনে টেস্ট দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠেছেন মিরাজ।

বন্ধুরা যখন জাতীয় দলে খেলছে তখন নিজেকে সেটা কতটা অনুপ্রেরণা জোগায় এমন প্রশ্নের জবাবে সঞ্জিত বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। তারা জাতীয় দলে খেলছে। আসলে সবার স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। তবে আমি আগে ন্যাশনাল লিগ-জাতীয় লিগে ফোকাস করতে চাই। সেখানে ভালো করতে পারলে একদিন হয়তো সুযোগ পেয়ে যাবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।