দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। এরপর কেউ হয়তো ভাবেনি বাবর আজমের দল শেষদিকে জমিয়ে তুলবে ম্যাচটা।
অবশ্য ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসেবে খ্যাতি থাকা পাকিস্তানের জন্য এ আর নতুন কী! সিরিজের প্রথম ম্যাচটি তো তারা ‘সহজ’কে কঠিন বানিয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে। কিন্তু এবার তাদের সামনে টার্গেটটা ছিল আকাশসসম। তার মধ্যে দলীয় শত রানে পা দেওয়ার আগে টপ-অর্ডাররা সাজঘরে।
এমন একটা ম্যাচকে শেষদিকে জমিয়ে তুললেন ফখর জামান। সতীর্থরা একে একে ব্যর্থ হলেও এই ওপেনার ১৫৫ বলে ১৮ চার ও ১০ চারে খেললেন ১৯৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। কিন্তু শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রানের দরকার হওয়া পাকিস্তান হেরেছে ১৭ রানে। ৯ উইকেটে ৩২৪ রানে থামে তারা।
এনগিদির করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে রান নিতে গিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে মার্করামের হাতে রান-আউটের শিকার হন ফখর। এই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে আর কেউ তেমন ব্যাটিং জাদু দেখাতে পারেননি। কেবল অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছে ফখর। সেই সঙ্গে একটি রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ স্কোরের বিশ্ব রেকর্ডটি এখন তার।
এর আগে রেকর্ডটি ছিল শেন ওয়াটসনের। ২০১১ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৮৫ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। পরের স্থানে আছেন দুই ভারতীয় মহেন্দ্র সিং ধোনি (অপরাজিত ১৮৩ রান, প্রতিপক্ষ: শ্রীলঙ্কা, জয়পুর, ২০০৫) এবং বিরাট কোহলি (১৮৩ রান, প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান, মিরপুর, ২০১২)।
এছাড়া পরাজিত দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন ফখর। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৪ রান করে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রি।
এর আগে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার-উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের ৮০, মার্কারামের ৩৯, অধিনায়ক বাভুমার ৯২, ভন ডার ডুসেনের ৬০ ও মিলনারের ২৭ বলে অপরাজিত ঝড়ো ৫০ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ৩৪১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই জয়ে তিন ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজের শেষ ম্যাচ হবে সেঞ্চুরিয়নে, বুধবার।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
ইউবি