পুরো ম্যাচজুড়েই বাংলাদেশের জন্য ছিল আক্ষেপ আর হতাশা। অবশেষে একটি সেশন নিজেদের করে নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে চা বিরতির আগে অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দিনের শুরুটা মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনকে দিয়ে করান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুটা মন্দ করেননি তারা। বিশেষত এবাদত হোসেন প্রায়ই বিপদে ফেলছিলেন ব্যাটারদের।
এক পর্যায়ে মিলেছিল সুযোগও। ইনিংসের ৫৩তম ওভারের শুরু থেকেই দুর্দান্ত বল করেছেন এবাদত। শেষ বলটি গুড লেন্থে ফেলে রেখেছিলেন স্টাম্পে। ব্যাটেও লেগেছিল এনক্রুমাহ বোনারের।
কিন্তু সেভাবে আবেদনই করেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখে নিশ্চয়ই হতাশাটা বেড়েছে। এরপরও সুযোগ মিলেছিল আরও একটি। সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে আবারও জীবন পান বোনার।
খালেদের ওভারে তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে গিয়েছিল বল; কিন্তু প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত বা উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা নুরুল হাসান সোহান কেউই নড়েননি। ক্যাচটি অবশ্য ছিল শান্তর। এরপরই ফিফটি তুলে নেন ক্যারিবীয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
খানিক বাদেই অবশ্য বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন সাকিব আল হাসান। দুবার জীবন পাওয়া বোনারকে বোল্ড করে দেন তিনি। ৯৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ক্যারিবীয়ন ব্যাটার।
এরপর লাইন-লেন্থ নিয়ে ভুগতে থাকা খালেদ পান সাফল্য। সেটাও আবার যেমন-তেমন উইকেট নয়। ক্রিজকে ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের। দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে উইকেট পান তিনি। ২৬৮ বলে ৯৪ রান করে সাজঘরে ফেরত গেছেন ব্র্যাথওয়েট।
ইনিংসের ৯০তম ওভারের শেষ বলে এসে এই সাফল্য পান খালেদ। ঠিক আগের বলটিই লাফিয়ে ওঠেছিল, ব্যাটে ঠিকঠাক লাগাতে পারেননি ব্ল্যাকউডও। কিন্তু ক্যাচ ওঠে বলটি পড়ে ফাঁকা জায়গায়। পরের বল গুড লেন্থে ফেলেন খালেদ, নিচু হয়ে সেটি লাগে ব্র্যাথওয়েটের প্যাডে।
জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ারও। রিভিউ না নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ব্র্যাথওয়েট। ভেঙে যায় ব্ল্যাকউডের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটি।
পরে জশুয়া ডি সিলভা ও কাইল মেয়ার্সের উইকেট নিয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৪, জুন ১৮, ২০২২
এমএইচবি