ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চুরির ৯ দিন পর মা ফিরে পেলেন সন্তান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
চুরির ৯ দিন পর মা ফিরে পেলেন সন্তান ...

চট্টগ্রাম: ফাতেমা নামের এক নারীর কাছ থেকে চুরি করা ১১ মাস বয়সী সন্তানকে নয়দিন পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফাতেমার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে চোর এবং চুরি করা শিশুটি কিনে নেওয়া এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ফাতেমা পাহাড়তলী থানায় অভিযোগ করেন।

গ্রেফতার হয়েছেন- কাউসার হোসেন বাবু (২৮), গোলাম হোসেন (৩২) ও লাকি আক্তার (২৮)।

নগর পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাউসারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর কেরানীগঞ্জের গোলাম হোসেন-লাকী দম্পতির হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।

গত ২২ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ে মা ফাতেমা বেগম রিমার কোল থেকে তার ১১ মাস বয়সী মেয়ে শর্মিলীকে চুরির ঘটনা ঘটে।  

সহকারী পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দিন সেলিম জানান, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ফাতেমা গত ২০ নভেম্বর চাকরির খোঁজে যশোর থেকে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে পরিচিত কেউ না থাকায় তিনি পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ে অবস্থান করছিলেন।

সেখানে কাউসারের সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয়। তিনি কাউসারকে চাকরির কথা বলেন। কাউসার নিজের মোবাইল নম্বর ফাতেমাকে দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। ২২ নভেম্বর অলঙ্কার মোড়ে আসেন তারা। শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঘোরানোর কথা বলে কাউসার একপর্যায়ে সটকে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউসার ফিরে না আসায় ফাতেমা একজনের মাধ্যমে তাকে (কাউসার) ফোন করেন। ফোনে কাউসার দ্রুত আসার কথা বলে পরে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, কাউসার শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চলে যায়। সেখানে কয়েকদিন রেখে তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের গোলাম হোসেন-লাকী দম্পতির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। এক হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে বাকি টাকা চুক্তি সম্পাদনের পর নেওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১,২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।