ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের সাফল্য ঈর্ষণীয়: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের সাফল্য ঈর্ষণীয়: আইজিপি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের সঙ্গে আইজিপি।

চট্টগ্রাম: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, এককালে সারাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছিল। একযোগে ৬৪ জেলায় হামলা চালানো হয়েছিল।

দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। সে অবস্থা থেকে দেশকে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি ।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি। তাই দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।  

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।  

আইজিপি বলেন, দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকার কারণে দেশের মাথাপিছু আয় হয়েছে তিন হাজার ডলার। ইন্টিলিজেন্স ও টেকনো বেইস পুলিশিং জোরদার করেছি। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে নিয়ে একযোগে কাজ করছি। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জ আসবে এটিকে সামনে রেখে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলছি।  

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে অপরাধের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মানবপাচার ও পরিবেশ সংকটসহ নিত্য নতুন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে সক্ষম করে তুলছি। সিএমপি এর মধ্যে অগ্রগণ্য। কারণ ঢাকার পরে চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্ব। সিএমপিকে সেইভাবে সক্ষম করে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

চট্টগ্রামের মানুষ আইনশৃঙ্খলার প্রতি অনুগত জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তারা সবসময় সুশৃঙ্খল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রামবাসী পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন। করোনাকালে মানবিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সিএমপির সদস্যরা যে আত্মিক বন্ধন গড়ে তুলেছিল তা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে।

জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য কাজ করছেন জানিয়ে আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু আছে। ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে থানার পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক-নেতিবাচক বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়। ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ সেবা দিচ্ছে। এখন এক চোরও মানুষের গণপিটুনি থেকে বাঁচতে পুলিশকে ফোন করেছে।  

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ক্রমবর্ধমান সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি বিষয়ক অপরাধ মোকাবেলায় সিএমপির রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একটি জনবান্ধব, জেন্ডার সংবেদনশীল এবং প্রযুক্তি নির্ভর সিএমপি গড়তে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম নগরের নাগরিকদের নিরাপত্তায় আস্থার ঠিকানা হয়ে উঠবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।  

বিকেলে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর নৃত্য ও দেশাত্মবোধক গানে গানে বিট্রিশ বিরোধী মুক্তি সংগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তুলে ধরা হয়। পরে সিএমপির কর্মকাণ্ডের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের যাত্রা শুরু হয়।

 বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।