ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুলিশের চেষ্টায় অপহৃত শিশু ফিরলো মায়ের কোলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
পুলিশের চেষ্টায় অপহৃত শিশু ফিরলো মায়ের কোলে ...

চট্টগ্রাম: নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মধ্যম মোহরা এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক মাসুম হাওলাদার। ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্থানীয় এসএস ভবনের সেমিপাকা কলোনির প্রবেশ মুখে খেলাধুলা করার সময় আড়াই বছরের শিশু মাহিমকে অপহরণে ব্যবহৃত হয়েছিল তার অটোরিকশা।

নগরের চান্দগাঁও থানায় সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর সাধারণ ডায়েরি করেন মা পারুল বেগম। ভিডিও ফুটেজ দেখে সেই অটোরিকশা শনাক্ত করার পর অপহরণের ঘটনা উদ্ঘাটন করে পুলিশ।

সিএমপি’র পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।  

২ লাখ ২০ হাজার টাকায় শিশু মাহিমকে বিক্রি করে দিয়েছিল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক একজনকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেফতার জুয়েলের কাছ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতার নুর ইসলাম মুরাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যেটি শিশু ফাহিমকে বিক্রি করার অভিপ্রায়ে অগ্রীম টাকা নিয়ে ক্রয় করেছিল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো.নুর ইসলাম প্রকাশ মুরাদ (২৪), মো.জুয়েল (১৯), মো.রাসেল (৩৭) ও রিমা আক্তার (৩০)।  

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা শিশু অপহরণ দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সহযোগিতায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের অপহরণ করে আসছিল। অপহরণ করা শিশুদের বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতো।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ এপ্রিল দুপুরে বাসায় ছিলেন না ফাহিমের বাবা মাসুম হাওলাদার। বাসায় ছিলেন মা পারুল বেগম। খেলাধুলা করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে গলির মুখে এসেছিল ফাহিম। সেখান থেকে নুরুল ইসলাম মুরাদ ও মো.জুয়েল ফাহিমকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে মুরাদ ও জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করে। হাটহাজারী থানার ছিপাতলীতে লুতি তালুকদার বাড়ি থেকে শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়। রাসেলের সহযোগিতায় রিমার কাছে টাকার বিনিময় ফাহিমকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। রাসেল এবং রিমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।