ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মন্দির-গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জামায়াতের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
মন্দির-গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জামায়াতের

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মন্দির-গির্জাসহ সব উপাসনালয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী।  

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নগরের দেওয়ান বাজার দলের মহানগর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান।

যারা লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের করা হবে জানিয়ে সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, একটি সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। সেটা ইতিমধ্যে কারা করেছে, পুলিশ প্রশাসন জানে।

নগরের কোতোয়ালী থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে, সেটা থানার ওসি অবগত আছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা কোতোয়ালী থানার অনেক পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছেন। চট্টগ্রামে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম মহানগরীতে মন্দির-গির্জাসহ সকল উপাসনালয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। আমাদের প্রতিটি থানায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার কাজ করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, তৎক্ষণাৎ এদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের সঙ্গে ১৮ বছর পরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা কথা দিয়েছি, বিদ্যমান প্রশাসনকে এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় ও ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এই বিজয় অর্জনে অগণিত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন হারাতে হয়েছে। একই সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য নারী শিশু, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। অগণিত মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় অর্জন পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এছাড়া ৪ জন সাংবাদিক, বহু সংখ্যক নিরীহ পুলিশ সদস্যও নিহত ও আহত হয়েছে। আল জাজিরার সংবাদে ৮৭৬ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আহত সাড়ে তিনশত জনের মতো চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে নিহত হওয়া সকল পরিবারের কাছে আমরা যাব ও সহযোগিতাও করা হবে। আমরা এ আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। একই সঙ্গে হাজার হাজার চোখ হারানো, পুঙ্গত্ব বরণকারী ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামীকে আওয়ামী লীগ  নিষিদ্ধ করার অধিকার রাখে না। জামায়াত ইসলামী  নিষিদ্ধ করার তিনদিনের মাথায় দেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে এলাকা ভিত্তিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের সকল নেতাকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও সকল রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।  

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনূস, মো. মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, নগর অফিস সেক্রেটারি এ এইচ এম কামাল, কোতোয়ালী থানা জামায়াতে সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ, মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০  ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।