চট্টগ্রাম: প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার তিনটি প্রকল্পের ভিত্তি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশখালের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প, ৩ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৭ টাকার ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফিরোজশাহ মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প এবং ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বহুরূপী মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প।
মেয়র বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো চট্টগ্রামকে গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। মহেশখালের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের পাড়ে গ্রিন ভিউ এবং ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে, যাতে নাগরিকরা এই এলাকায় বিনোদনের সুযোগ পান।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এই সমস্যার মূল কারণ হলো খাল পরিষ্কার না থাকা এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন। আমরা খালগুলোর গভীরতা বাড়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং গণসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছি। এছাড়া, সিডিএ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে খাল খননের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে হবে।
ডা. শাহাদাত যুবসমাজের জন্য খেলার মাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ৪১ ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরি করা। ফিরোজশাহ ও বহুরূপী মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে শরীরচর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
তিনি মশক নিধন কার্যক্রম এবং পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জনগণকে সজাগ থেকে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের কর্মীদের মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে এবং জনগণের সাথে মিলেমিশে কাজ করছি।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সিটি গভর্নমেন্টের অধীনে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা চাই নাগরিকদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করে একটি আধুনিক ও টেকসই চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, মাহমুদ শাফকাত আমিন, সহকারী প্রকৌশলী সজীব রেজা হক, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি