ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা  ওরশে মোনাজাত পরিচালনা করেন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)

চট্টগ্রাম: লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৯তম বার্ষিক ওরশ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী।

মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।  

নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর তত্ত্বাবধানে ওরশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তরা।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নেন ওরশ শরীফে।  

সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহান আল্লাহর অলিদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রান্তিলগ্নে সবসময় সুফী সাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামোর রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিশ্বাসের সাথে সমাজ সংস্কৃতির নৈতিক সংস্কারে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ ত্বরিকার অনুসারীরা ঐশি প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, সুফি দর্শন মানবতার শিক্ষায় আলোকিত পথ দেখায়। মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের আত্মিক উন্নতি, নৈতিক মানোন্নয়ন এবং সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ওরশের মাধ্যমে শুধুমাত্র স্মরণ করি না, বরং সমাজে মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞা করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের অধ্যাপক ড. শেখ মকবুল ইসলাম, খান এগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, ফনিক্স শিপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের, শাহজাদা সৈয়দ এরহাম হোসাইন, শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।  

আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায় ওরশে মিলাদ পরিচালনা করেন দারুত তায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী।  

ওরশ উপলক্ষে ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।