চট্টগ্রাম: ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এবং অন্ত্যমিল প্রকাশনীর তত্ত্বাবধানে জামালখান ডা. খাস্তগীর স্কুলের সামনে বুক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এই উদ্যোগ আমার খুবই ভালো লেগেছে। এখানে আমি একটা বই নেব, পড়া হয়ে গেলে সেই বইটি আমি নিজে নিজেই এখানে জমা দেব এবং নতুন একটি বই নিয়ে যাব। আমরা সততার মাধ্যমে এই কাজটি করবো। স্ক্যান কোডের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার নাম ঠিকানা দিয়ে কোন বইটি আপনি নিচ্ছেন কোন বইটি রেখে গেছেন সব অনলাইনে যুক্ত হয়ে যাবে। আপনি কোনো বই ডোনেট করতে চাইলে সেটাও পারছেন। পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের যে পবিত্র কোরআন যেটা আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে নাজিল হয়েছিল সেখানের প্রথম বাক্য ছিল ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন ‘। কারণ পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। আমি মনে করি পড়াশোনা জীবনের শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে এবং পড়াশোনা করে আলোকিত সমাজ, আলোকিত মানুষ, আলোকিত রাষ্ট্র আমাদের করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শওকত হোসেন জনি বলেন,
এই বুক এক্সচেঞ্জ কর্নারে সততার ভিত্তিতে বই বিনিময় করা যাবে। একটি বই রেখে আরেকটি বই নেওয়ার মাধ্যমে একজনের জ্ঞান অন্যের কাছে পৌঁছাবে। সততাই হবে এই উদ্যোগের মূল চালিকা শক্তি।
অন্ত্যমিল প্রকাশনীর তানভীর রিসাত বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বই নিয়ে কাজ করছি। বই পড়া এবং অন্যকে বই পড়তে দেওয়ার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। এই কর্নার পাঠকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উদ্যোক্তারা জানান, এই বুক এক্সচেঞ্জ কর্নারটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং পাঠক এখানে এসে স্বেচ্ছায় বই রেখে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিতে পারবেন। কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজেই বুক এক্সচেঞ্জের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। বই পড়ার প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জসিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রণব কুমার শর্মাসহ ক্লিন বাংলাদেশের কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা,জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এআর/টিসি