চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করতে ২৯ ডিসেম্বর নগরীর লালদিঘী ময়দানে ‘শোডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। বিজয় দিবস উপলক্ষে জনসভার আয়োজন করে এতে সব আসনের আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের হাজির করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা লালদিঘী ময়দানে বিজয় উৎসব করব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ‘লাঙল’ প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু’র পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় কোতয়ালী-বাকলিয়া আসনে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম বিএসসি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। নৌকা মার্কার কোন প্রার্থী না থাকায় আমরা স্থানীয়ভাবে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে সমর্থন দিয়েছি।
এ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী থাকতে জোটের বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ দলের প্রার্থীদের চেয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলু সাহেবকে যোগ্য মনে করেছি, সেজন্য তাকে সমর্থন দিয়েছি। আর এটা ওপেন সিট। ১৪ দলের প্রার্থীরা যদি জিতে আসতে পারলে তো কোন সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য এ আসনে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন হাতুড়ি মার্কায় ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ এবং কুঁড়েঘর মার্কায় ন্যাপের আলী আহমেদ নাজির। বিএনএফ’র প্রার্থী অধ্যাপক আরিফ মঈনুদ্দিনও টেলিভিশন মার্কায় এ আসনে নির্বাচন করছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নবী দোভাষ। এছাড়া নগরীর চারটি আসনে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি ও স্থানীয়ভাবে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের জন্য বর্ধিত সভা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ড নির্বাচনের আওতায় পড়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি ও কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কমিটিতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সম্মানিত পেশাজীবী, লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে সহ-সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, তথ্য সম্পাদক চন্দন ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, উপ দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দেবাশীষ গুহ বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩,২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।