ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হিমু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৪
হিমু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম: বিদেশি কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্মমভাবে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার শুরু হবে বলে আশা করছে হিমাদ্রির পরিবার।



চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে এ মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৭ ও ২৮ নভেম্বর দু’দফায় অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারিত থাকলেও প্রথমবার রাষ্ট্রপক্ষে সময়ের ‍আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং পরেরবার ১৮ দলীয় জোটের হরতালের কারণে তা পিছিয়ে যায়।


বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে কাল (বৃহস্পতিবার) অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার যাতে শুরু হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন।

মামলা দায়েরের এক মাসের মাথায় আসামী শাহাদাৎ হোসাইন সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর শাহ সেলিম টিপু ও ছেলে রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনজনই জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

এদিকে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম।  

ওই আদালত থেকে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে মামলাটির নথি নভেম্বরের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। এরপর আদালত দু’দফা অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণ করেন।

হিমু’র বাবা প্রবীর কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘সন্তানকে হারিয়েছি আজ দেড় বছরেরও বেশি হচ্ছে। আমরা তার হতভাগ্য বাবা-মা শুধু ছেলে হত্যার বিচার দেখব এই আশায় বেঁচে আছি। আমরা চায় অবিলম্বে বিচার শুরু হোক। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।