ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পটিয়ায় নিখোঁজ যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৪
পটিয়ায় নিখোঁজ যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এয়াকুবদণ্ডী এলাকা থেকে নিখোঁজের সাতদিন পর আশরাফুল আলম অপু (১৬) নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে পুলিশ ‍লাশটি উদ্ধার করে।



নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন, সন্ত্রাসীরা এক কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তাকে অপহরণ করেছিল। মুক্তিপণ না দেয়ায় তাকে খুন করেছিল।


তবে পটিয়া থানার ওসি মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য অপেক্ষা না করে তাকে মেরে ফেলেছে। এতে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পড়ালেখা ছেড়ে আশরাফুল আলম অপু সম্প্রতি বখাটে, মাদকসেবীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেন।

এ ঘটনায় তার দু’বন্ধুকে গ্রেপ্তার কর‍া হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

জানা গেছে, আশরাফুল আলম অপু পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে।

অপু’র মামা নূরুল আবছার বাংলানিউজকে জানান, অপু পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করত।

তবে পটিয়া থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের পর তারা পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, অষ্টম শ্রেণীতে পরপর দু’বছর ফেল করায় অপু নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি। এরপর এক বছর ধরে সে স্কুলেও যায়নি। বর্তমানে সে স্কুলের অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে আছে।

অপু’র মামা নূরুল আবছার বাংলানিউজকে জানান, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে অপু একটি মেহেদি অনুষ্ঠানে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার আর কোন খোঁজ মিলছিল না। এর মধ্যে তার মা পারভিন আক্তারের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করে অপুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত লোকজন। মুক্তির জন্য এক কোটি টাকা দাবি করে তারা। ২৫ জানুয়ারি এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন অপু’র বাবা।

রোববার দুপুরে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট একটি স্থানে যায় অপুর পরিবারের লোকজন। কিন্তু টাকা নিতে সেখানে কেউ আসেনি। এরপর রাতে অপু’র মায়ের মোবাইলে এবং পটিয়া থানার ওসিকে টেলিফোনে অপু’র লাশ এয়াকুবদণ্ডী এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের পেছনে বালির স্তূপের নিচে রাখা আছে বলে জানানো হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে লাশটি পাওয়া যায়।

ওসি মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, লাশটি গলিত অবস্থায় পোকায় খাওয়া। মনে হচ্ছে, চার-পাঁচদিন আগেই তাকে খুন করেছে। কিভাবে খুন করেছে, লাশের শরীর দেখে সেটিও বোঝা যাচ্ছেনা।

ওসি জানান, ২৫ জানুয়ারি জিডি দায়েরের পরই অপু’র দু’বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কিছু তথ্য দিয়েছে। শীঘ্রই খুনের রহস্য উদঘাটনের আশা করছেন ওসি।

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।