চট্টগ্রাম: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা অভিমুখে লংমার্চ যাত্রা করেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর লালদিঘী ময়দান ও জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠ থেকে শতাধিক গাড়ি নিয়ে লংমার্চ যাত্রা শুরু করেছে।
লংমার্চের বহরে যোগ দিতে সকাল ৯টা থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে নেতাকর্মীরা গাড়িতে চড়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও লাঠি নিয়ে মিছিল করে লালদিঘী ময়দানে আসেন।
লংমার্চ শুরুর আগে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী লংমার্চে অংশগ্রহনকারী জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের বাড়ী-ঘরে আগুন দেয়া, নারী নির্যাতন করা জঘন্য অপরাধ। এরকম ঘটনায় চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে। তাই শান্তির বার্তা নিয়ে সাতকানিয়া অভিমুখে এ লংমার্চ শুরু করেছি। সাধারন মানুষ শান্তিকামী, তারা নিজ নিজ এলাকায় শান্তি চায়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে এ লংমার্চে অংশ নিয়েছেন, দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, নগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও সদস্য সচিব জহরলাল হাজারী ।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদের সদস্য সচিব ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে জানান, তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী তারা নগরী থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। এর বাইরে পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া উপজেলা থেকেও নেতাকর্মীরা সাতকানিয়ায় আসবেন।
সব মিলিয়ে সাতকানিয়ায় সাতকানিয়ার কেরাণীহাটে লংমার্চ শেষে দশ হাজার মানুষের সমাবেশ হবে বলে তিনি জানান।
সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সম্প্রতি চট্টগ্রামে সংগঠনটি গড়ে তুলেছেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। গত ২০ জানুয়ারি সংগঠনের প্রথম সমাবেশ থেকে ৩০ জানুয়ারি সাতকানিয়া অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেন মহিউদ্দিন। পরে কর্মসূচীর তারিখ পরিবর্তন করে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮,২০১৪