চট্টগ্রাম: টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানী সাজাতে ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একই ইভেন্টে চট্টগ্রাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হলেও বন্দরনগরীকে সাজাতে কোন বরাদ্দ নেই সরকারের।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে নগরীর মোড়ে মোড়ে ঝরণা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ক্রিকেটারদের ভাস্কর্য্যসহ সৌন্দর্য্যবর্ধনে প্রায় সাতকোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা নষ্ট ও মলিন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে নগরের টাইগারপাস মোড়ে বসানো হয়েছিল বিশাল আকৃতির একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে দুই দিকে বসানো হয়েছিল আরও দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দেখে মনে হতে পারে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে নেমে আসছে বাঘগুলো। একসময় বাঘ নামত বলে ওই জায়গার নাম হয়েছে টাইগারপাস।
তবে কৃত্রিম এই বাঘ মানুষের নজর কেড়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাঘগুলোর গায়ে থেকে রঙ উঠে গেছে। ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশে। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন সময় বাঘের শরীরের বিভিন্ন অংশও ভেঙ্গে দিয়েছে।
একই সময় নগরীর নিমতলা মোড়ে বসানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১৬ সদস্যের ভাস্কর্য। কেউ ব্যাট, কেউ বল হাতে দাঁড়ানো | কিন্তু এর কোনটিই আর অক্ষত নেই। দুর্বৃত্তরা ব্যাটগুলো নিয়ে গেছে। ভাস্কর্য্যগুলোও ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে।
ধুলোর আস্তরণ জমেছে স্থাপনাগুলোর উপর। লাইটিং ব্যবস্থাতো বিশ্বকাপের পরপরই বন্ধ।
নগরীর ওয়াসা, জিইসি ও টাইগারপাস মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে ৩০টি ঝরণা স্থাপন করা হয়েছিল। যার সবকটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোন কোনটি পোস্টার আর ব্যানারে ডেকে গেছে। কোনটি আবার ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি আছে মাত্র ২৫দিন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসব স্থাপনা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই করপোরেশনের। তবে সরকার থেকেও কোন তহবিল বরাদ্দ পায়নি করপোরেশন।
গত ১৯ জানুয়ারী টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানী সাজাতে ১১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। কিন্তু চট্টগ্রামের জন্য এখনো পর্যন্ত কোন বরাদ্দ দেয়নি সরকার।
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,‘নগরীর সৌন্দের্য্যবর্ধনে একটাকাও বরাদ্দ পায়নি সিটি করপোরেশন। কিছু টাকা বরাদ্দ পাই কিনা সে চেষ্টা করছি। তবে করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যানার, পতাকা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে আগে স্থাপন করা বাঘ, ভাস্কর্য ও ঝরণাগুলোও সংস্কার করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৪