ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৭ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৪
মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৭ মার্চ

চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আগামী ২৭ মার্চ অভিযোগপত্রভুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।



রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান এ সময় নির্ধারণ করেছেন।

অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণের বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে নিশ্চিত করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ।


রোববার ৯ আসামীর মধ্যে গ্রেফতার থাকা আট আসামীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মুফতি ইজহারুল ইসলাম এ মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন।  

গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।  

মামলার এজাহারে থাকা তিনজন আসামীকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত না করায় অভিযোগপত্রের বিষয়ে আপত্তি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ। এজন্য অভিযোগপত্র গ্রহণের উপর দু’দফা শুনানি পিছিয়ে যায়।

তবে রোববার নির্ধারিত শুনানির দিনে মহানগর পিপি আদালতে বলেন, যেহেতু পুলিশ কমিশনারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তদন্তের সার্বিক বিষয় মনিটরিং করেছেন সেক্ষেত্রে আমার কোন আপত্তি নেই। অভিযোগপত্রের বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট।

এরপর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণ করেন।

এদিকে ইজহারুলের ছেলে মুফতি হারুন ইজহারসহ গ্রেপ্তার থাকা আসামীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে আদালতের কাছে অভিযোগ করেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার। আদালত বিষয়টি জেলকোড অনুযায়ী সুরাহা হবে বলে আদেশ দেন।

জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি ইজহারুল ইসলাম ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।