ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দু’বন্ধুর লাশ সেপটিক ট্যাংকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪
দু’বন্ধুর লাশ সেপটিক ট্যাংকে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দু’নম্বর গেট এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা উভয়ই স্থানীয় ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।



পুলিশ জানিয়েছে, তাদের হাত-পা বেঁধে, পায়ের রগ কেটে এবং শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এসময় এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা জড়ো হয়ে ষোলশহর এলাকায় ব্যাপকভাবে যানবাহন ভাংচুর করেছে। ছাত্রলীগ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।

খুনের শিকার দু’জন হলেন- মো.ফোরকান উদ্দিন (২০) এবং এমইএস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কামরুল ইসলাম (২০)। ফোরকান সিইপিজেডে একটি কারখানার শ্রমিক। ফোরকান নাসিরাবাদ এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সাবেক ছাত্র।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) হারুন উর রশিদ হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি লাশের হাত, পা, চোখ বাঁধা ছিল। একজন এমইএস কলেজের ছাত্র। আরেকজন গার্মেণ্টস শ্রমিক। তাদের কারা এমন নৃশংসভাবে খুন করেছে সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারব বলে আশা করছি।
ctg_pic_
লাশ ট্যাংকে, উড়ছে রক্তমাখা শার্ট
ষোলশহর দু’নম্বর গেইটে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পাশে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু লোহার পাত দিয়ে ঘেরা একটি জায়গা। সেখানে নালার পাশে সেপটিক ট্যাংকের কয়েক ফুট ভেতরে ছিল ফোরকান। তার উপরে ছিল কামরুল।

সকাল ১১টার দিকে প্রথমে কামরুলের লাশ বের করে পুলিশ। দেখা গেছে, কামরুলের দু’পায়ের রগ কাটা অবস্থায় আছে। দু’হাত রশি দিয়ে বাঁধার কারণে সেখানে মারাত্মক জখম দেখা গেছে। মুখ এবং গলাও বাঁধা ছিল। সারা শরীর রক্তাক্ত। তার পরণে ছিল জিনসের প্যান্ট এবং টি শার্ট।

এর প্রায় আধাঘণ্টা পর ফোরকানের লাশ বের করা হয়। ফোরকানের দু’পায়ের রগও কাটা অবস্থায় দেখা গেছে। সারা শরীর রক্তাক্ত এবং হাত, মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে। তার পরণেও জিনসের প্যান্ট এবং গেঞ্জি ছিল। ফোরকানের রক্তমাখা শার্ট পাওয়া গেছে লোহার পাতের সীমানা দেয়ালে ঝুলন্ত অবস্থায়। রক্তমাখা শার্টটি উড়ছিল বাতাসে।

লাশ উদ্ধারের আগে ঘটনাস্থলে আর সেই শার্ট দেখে ফোরকানের মা বুঝতে পারে তার ছেলের লাশ আছে ট্যাংকে। চিৎকার করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফোরকানের মা খুরশিদা বেগম।

‘তোমার ছেলের লাশ আছে ট্যাংকের ভেতর’
ফোরকানের মা খুরশিদা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ফোরকান গতকাল (রোববার) বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হয়। রাত ৯টার দিকে তিনি ছেলেকে ফোন দেন। ফোরকান তাকে জানায়, সে দুই নম্বর গেইট এলাকায় আছে। কথা বলতে বলতে মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর তার মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।
ctg_picctg_pic
তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে একজন তার মোবাইলে ফোন করে। তাকে বলে, তোমার ছেলের লাশ ষোলশহর কবরস্থানের পাশে ট্যাংকের ভেতরে আছে, সেখানে যাও। খবর পেয়েই কবরস্থান এলাকায় ছুটে আসেন ফোরকানের মা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তারপর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পাশে সীমানা দেয়াল ঘেরা ওই স্থানে যান। ততক্ষণে পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে খুলশী থানার এক উপ-পরিদর্শকের কাছেও একটি কল আসে। তাকেও একইভাবে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দুটি লাশ আছে বলে জানানো হয়।

কামরুলের মা জোসনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ফখরুলের মায়ের কাছ থেকে তিনি খবর পেয়ে দ্রুত কামরুলে চাচী ও খালাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।

তিনি জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে মায়ের কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে চা খাওয়ার কথা বলে বের হয় কামরুল। ঘণ্টাখানেক পরও বাসায় ফিরে না আসায় তার মা ফোন আবার করে। সে বলে, ফিরে আসছি। এরপর রাতভর কামরুল আর ফিরেনি। তার মোবাইলও বন্ধ পান তার মা।

কামরুলের খালা রমিজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, একদিন পর রোববার রাত আড়াইটার দিকে কামরুল ও ফোরকান বহদ্দারহাট এলাকায় তার বাসায় যায়। কামরুল তার কাছে ভাত খেতে চায়। এসময় তাদের কাছে একটি ফোন আসে। তারা তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যায়। এরপর সকালে খবর পাওয়া যায়, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

কামরুলের মা জোসনা বেগম জানায়, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়। তারা তুলাতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্বামী আব্দুল হাকিম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগে চাকুরি করেন। তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় কামরুল কয়েক বছর আগে গ্রামে দাদা-দাদির কাছ থেকে এনে এমইএস কলেজে ভর্তি করা হয়।

তিনি জানান, টানাটানির সংসারে কষ্ট করে ছেলেকে কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। স্বর্ণের অলংকার বন্ধক দিয়ে তিনি ছেলের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছিলেন।
cg_bg_
ঘটনাস্থলে পিতা আব্দুল হাকিম নিজেই পুলিশকে সাহায্য করে ট্যাংক থেকে লাশ বের করে আনেন। ঘটনার আকস্মিকতায় যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন আব্দুল হাকিম।

অ-পুত, মা হনে ডাকিব ?
চোখের সামনে ট্যাংক থেকে যখন সন্তানের লাশ নিয়ে পুলিশ গাড়িতে তুলছিল তখন বিলাপ করে গাড়ির পেছনে পেছনে দৌঁড়াচ্ছিলেন ফোরকানের মা খুরশিদা বেগম। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, অ-পুত, এতল্লাই তোরে বড় গইরয্যিলাম যে না। তুই গিয়ূসগ্যুই। আঁরে মা হনে ডাকিব ? (এজন্য কি তোকে মানুষ করেছিলাম ? তুই চলে গেলি, আমাকে মা কে ডাকবে ?)

স্বামী পরিত্যক্তা খুরশিদা বাংলানিউজকে জানান, স্বামী তাকে ছেড়ে যাবার পর তিন ছেলেকে মানুষ করতে তিনি ষোলশহরে আল ফালাহ গলিতে গিয়ে একটি স্ক্র্যাপ জিনিসপত্র বিক্রির দোকান দেন। মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে তিনি ৯ হাজার টাকায় ছেলেকে টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ দেন।

খুরশিদা বলেন, আমার ছেলে তো কোন রাজনীতি করত না। তাকে কারা মেরেছে। কারা আমার বুক খালি করেছে। আমি জানতে চাই। আমি বিচার চাই।

কামরুলের খালা জোসনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বাংলানিউজকে বলেন, রাজাকাররাও তো এভাবে লোকজনরে মারেনি। এভাবে কেন দুটা ছেলেক খুন করা হল। কামরুল লেখাপড়া করত। ভদ্র ছেলে ছিল। সে কোন রাজনীতির সঙ্গে ছিলনা।
ctg_pic__
‘ছাত্রলীগ’র অপরাধের আখড়া
যে জায়গা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, লোহার পাত দিয়ে সীমানা প্রাচীর ঘেরা ওই জায়গাটি ছিল ছাত্রলীগ নামধারী স্থানীয় সন্ত্রাসী, অপরাধীদের আখড়া।

স্থানীয় একটি ভবনের এক নিরাপত্তা রক্ষী বাংলানিউজকে জানান, জায়গাটির আসল মালিক কে সেটা এলাকায় কেউ জানেন না। মাঝে মাঝে সেখানে ভবন বানানোর জন্য রড, ইট আনা হয়। কিন্তু ভবন বানানোর কাজ কখনোই শুরু হতে পারেনি।

তিনি জানান, এমইএস কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকার ছাত্রলীগ নামধারী অপরাধীরা দিনে-রাতে সময়সময় সীমানা প্রাচীর টপকে ওই জায়গায় আশ্রয় নিত। তারা সেখানে আড্ডা দিত।

এলাকার বাসিন্দাদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাতের বেলা ওই জায়গায় কিশোর-তরুণ বয়সী ছেলেরা বসে ফেনসিডিল, মদ খেত। অনেক সময় মেয়ে এনে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতেও দেখেছেন তারা। প্রায় সময় ওই জায়গায় অপরাধীদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, মারামারি হত।

তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে ধরে এনে ওই জায়গায় ভেতরে নিয়ে মারধর করা হত। তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেয়া হত। এলাকায় কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সেখানে ধরে নিয়ে মারধর করা হত।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) হারুন উর রশিদ হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, ছিঁচকে সন্ত্রাসী, মাদকসেবীরা এ জায়গায় আসত। বিভিন্ন অপরাধ কর্ম এখানে হয়েছে। পুলিশ অনেক সময় এখানে অভিযানও চালিয়েছে।
ctg_pic__
ছাত্রলীগের নির্বিচারে গাড়ি ভাংচুর
কামরুল ও ফোরকানের লাশ উদ্ধারের সময় একদল ছাত্রলীগ কর্মী হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় তারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে নির্বিচারে গাড়িতে হামলা শুরু করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও তারা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি।

উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগের কর্মীরা এসময় চারটি বাস, একটি হিউম্যান হলার, বিএসআরএম গ্রুপের দুটি ট্রাক, একটি কর্গো ভ্যান, একটি ছোট ভ্যান, ৪-৫টি অটোরিক্সাসহ কমপক্ষে ১৫টি গাড়ি ভাংচুর করে।

এসময় ঘটনাস্থলে আসেন ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি মো.মহসিন, যুগ্ম সম্পাদক সৌমেন বড়ুয়া, যুবলীগ নেতা আবু তৈয়বসহ আরও কয়েক নেতা।

সৌমেন বড়ুয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, কামরুল ও ফোরকান দুজনই এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম গ্রুপের কর্মী। তারা মিটিং-মিছিলে সক্রিয় থাকত।

তিনি বলেন, তাদের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করব। ’

মো.মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, তারা সক্রিয় দল করত না। আমি তেমনভাবে কখনও মিটিং-মিছিলে দেখিনি। কলেজের একটা ছাত্র খুন হয়েছে শুনে আমি ছুটে এসেছি।

ভাংচুরে অংশ নেয়া সিটি কলেজের ছাত্র লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কামরুল সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। ফোরকানও ছাত্রলীগ করত। ছাত্রলীগ করবে বলে কি তাদের এভাবে মেরে ফেলতে হবে ? আমরা বিচার চাইতে রাস্তায় নেমেছি।

যুবলীগ নেতা আবু তৈয়ব বাংলানিউজকে বলেন, কামরুল ও ফোরকান ওয়াসিম ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। ওয়াসিম ভাইয়ের গ্রুপের পলিটিক্স করত। কারা তাদের মেরেছে বুঝতে পারছিনা।

খুনের সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে সৌমেন বড়ুয়া বলেন, আমরা জানিনা। আমরা কাউকে অভিযুক্ত করছিনা। পুলিশকে খুঁজে বের করতে হবে।
ctg_pic__so
কেন এই হত্যাকাণ্ড ?
এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন এবং বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের বক্তব্যেও এমন আভাস পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওমরগণি এমইএস কলেজে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে চলছে ছাত্রলীগের রাজনীতি। এক গ্রুপে নেতৃত্ব দেন ছাত্র সংসদের সভাপতি মো.ওয়াসিম এবং অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক আরশাদুল আলম বাচ্চু। দুজনের অনুসারী ছাত্রলীগের দুটি কমিটিও আছে ওই কলেজে।

কলেজ এবং আশপাশের এলাকায় আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে একদিন বিকেলে নগরীর জিইসি মোড় থেকে গোলপাহাড় পর্যন্ত এলাকায় দুই গ্রুপে ব্যাংপক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় দুজন ছাত্রলীগ কর্মীকে। নির্বিচারে গাড়ি, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। অথবা নিজ গ্রুপের অন্ত:কোন্দলেই এসব অপরাধীরা খুন হতে পারে।

সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের মহানগর কমিটি গঠনের পর মূলত উভয়পক্ষের দ্বন্দ্ব ব্যাপক আকারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নতুন এ কমিটিতে ওয়াসিম গ্রুপের কাউকে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ আছে ওই পক্ষের নেতাদের। পদ পাওয়া এবং পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কমিটি নিয়েও কয়েক দফা সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি। দলীয় কোন্দল নাকি ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। খুব দ্রুতই খুনের রহস্য উন্মোচন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪/আপডেটেড: ১২০২ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।