চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম বাবুলের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নামধারী বখাটেদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জামালখানসহ আশপাশের এলাকাকে বখাটে ইভটিজারমুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুলের পরিবারের সদস্যরা এ আবেদন জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবুল হাশেম বাবুলের বড় ছেলে আবু হাসনাত চৌধুরী। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আমার চাচাত বোন কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন বখাটে তাকে উত্যক্ত করা শুরু করে। আমার চাচাত ভাই তৌসিফ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বখাটেরা ইট, পাথর নিক্ষেপ করে আমাদের পারিবারিক গ্যারেজে হামলা চালায়। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দা, কিরিচ নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমার বাবা প্রতিবাদ করতে এলে হামলায় তিনি আহত হন। হামলা শেষে যাওয়ার সময় তারা জামালখান বাই লেইনের একটি মুরগির ফার্মেও ভাংচুর চালায়।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি, এসব বখাটে ইভটিজার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার জন্য অনেক কিছু করছেন। কিন্তু শিক্ষার পথে মূর্তিমান আতংক ইভটিজারদের বিরুদ্ধে তার পরিকল্পনা কি তা আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনার রাতেই কোতয়ালী থানায় বখাটেদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটা দু:খজনক।
সংবাদ সম্মেলনে বাবুলের মেয়ে ডা.নূসরাত জাহান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থাকা বখাটে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য থামাতে হবে। অন্যথায় জামালখানে কোন শান্তিপ্রিয় মানুষ বসবাস করতে পারবেনা, কোন মেয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারবেনা। ঐতিহ্যবাহী জামালখান থেকে আর কোনদিন কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকও সৃষ্টি হবেনা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বাবুলের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও জামালখানকে বখাটে-ইভটিজারমুক্ত করার দাবিতে আগামী শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাবুলের স্ত্রী হামিদা বেগম এবং ছোট ছেলে আবু সাঈদও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নারীনেত্রী নূরজাহান খান, মানবাধিকার সংগঠক ও কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা কবির রানু, খেলাঘর সংগঠক অধ্যাপিকা রোজি সেন, আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, ব্যবসায়ী সাহাবউদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এসে বাবুলের পরিবারের সঙ্গে সংহতি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪,২০১৪