চট্টগ্রাম: নগরীর কর্ণফুলী থানার চরপাথারঘাটা এলাকায় চাঞ্চল্যকর শেখ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নগর গোয়েন্দা পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের উপর বাদিপক্ষের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার নারাজি আবেদনের উপর শুনানির পর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আহমেদ সাঈদ অধিকতর তদন্তের আদেশ দিলেও এজন্য সময় বেঁধে দেননি।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আদালত বাদির নারাজি আবেদন গ্রহণ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট কর্ণফুলী থানার ইছানগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে শিশুরা খেলার সময় একটি বল নুরুল আলম নামে একজনের গায়ে পড়ে। এর জের ধরে শিশুদের মারধরের প্রতিবাদ করেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। এসময় মহব্বত আলী নামে একজনের নেতৃত্বে কয়েকজন মহিউদ্দিনের উপর হামলা চালায়।
পরে এ নিয়ে সালিসে মহিউদ্দিনের কাছ থেকে সালিসকারিরা দুই লাখ টাকা জামানত দাবি করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মহব্বত আলীর কাছ থেকে কোনো জামানত চাওয়া হয়নি। মহিউদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয় প্রতিপক্ষ।
এর জের ধরে ৭ অক্টোবর সকাল ৯টায় মহিউদ্দিন একটি মামলার হাজিরা দিতে আদালতের উদ্দেশ্যে রিকশায় কর্ণফুলী নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে খুনের পর পাশের ড্রেনে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় মহিউদ্দিনের স্ত্রী সানেয়ারা বেগম বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা প্রথমে কর্ণফুলী থানা তদন্তের উদ্যোগ নিলেও বাদিপক্ষের আপত্তির মুখে তা নগর গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়।
গত ২ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) দেবাশিষ বিশ্বাস তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ৮ জনকে বাদ দিয়ে মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদ পড়া ৮ জন হল, মহব্বত আলী, নূর উদ্দিন, মো.ঝিনুক, মোহাম্মদ আলী, লিয়াকত আলী, সাহাবুদ্দিন, মাইনুদ্দিন এবং রাশেদ রানা।
৭ নভেম্বর বাদি নগর গোয়েন্দা পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের উপর আদালতে নারাজি আবেদন দেন। আরজিতে সিআইডির মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান বাদি। তিনদিন শুনানির পর সোমবার আদালত এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪