চট্টগ্রাম: সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দরের বর্জ্য অপসারণকারী দুটি অত্যাধুনিক জাহাজ না পাঠানোর কারণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো জরুরি এক ফ্যাক্স বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এতে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে অত্যাধুনিক দুটি বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ (বে-ক্লিনার-১ ও বে-ক্লিনার-২) অলস বসে থাকার পরও জাহাজ দুটি দুর্ঘটনা স্থলে ভাসমান তেল অপসারণে পাঠানো হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে অত্যাধুনিক বিশেষায়িত এ দুটি জাহাজ প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা হয়েছে। দেশের নদী কিংবা সাগরের কোথাও বর্জ্য অথবা তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত পরিবেশ সম্মতভাবে অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে জাহাজ দুটিতে।
সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের বিপুল পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়ার পরও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজ দুটি না পাঠানোয় বিস্ময় প্রকাশ করে মহিউদ্দিন বলেন, ‘কাণ্ডারী-১০’ জাহাজটিও অকার্যকরভাবে সেখানে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
ফ্যাক্স বার্তায় উল্লেখ করা হয়, একদিকে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয়, অন্যদিকে এধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোটি-কোটি টাকা মূল্যের বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ দুটি অলস বসিয়ে রেখে অপারেশন কস্ট হিসেবে কোটি-কোটি টাকা গচ্চা দেয়ার নেপথ্যে রহস্য বোধগম্য নয়।
সুন্দরবনে সংঘটিত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলায় বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ দুটি অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন এলাকাকে ক্ষতির থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মহিউদ্দিন।
একইসঙ্গে জাতীয় বিপর্যয়ে যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সময়মত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়:১৭২০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪