চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামে ২ শতক জায়গা দখলে নিতে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ঘরে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতের দিকে মাহমুদাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ফকরুল ইসলাম (৩৫), রবিউল হোসেন (৩), শিশির আহমেদ স্বাধীন (২), সুমি আক্তার (১৮), গুলছাফা বেগম (৫৫), রুমা আক্তার (২০), হানিফ সওদাগর (৪০), সাইফুল (২৮), রোজিনা (৩০), সুলতানা আক্তার (২২)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাহাব উদ্দীন, ফয়েজ, নুরুউদ্দীন, আবুল কালাম, মো. মামুন, জিয়া, সুমন, শাহাদাত হোসেন, ফারুক আহম্মদ, সুজন, নুরুল আবছার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ২ শতক জায়গা দখলে নিতে সোমবার ভোররাতে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায় পার্শ্ববর্তী সাহাবউদ্দিন। এতে জাহাঙ্গারীরের পরিবারের সদস্যরা আহত হন।
এসময় আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা সাহাব উদ্দিনের ঘরে আশ্রয় নেয়। এলাকাবাসীর চাপের মুখে সেখান থেকে সোমবার বেলা ১২টার দিকে সাহাবউদ্দিনসহ ১১ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বিষয়টি মিমংসা করা হয়। এরপরও দুই শতক জায়গা দখলে নিতে সন্ত্রাসী হামলা চালায় সাহাব উদ্দিন। এ ঘটনায় ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেলে। থানায় খবর দিলে সকাল ১১টার দিকে এলাকাবাসীর চাপে ১১জনকে গ্রেফতার করে।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, মাত্র ২ শতক জায়গা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। কয়েকবার দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা মানেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪