ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে পিএসটিসি‘র উদ্যোগে যুবমেলা

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
চট্টগ্রামে পিএসটিসি‘র উদ্যোগে যুবমেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) উদ্যোগে চট্টগ্রামে যুব সমাবেশ ও প্রকল্পের কার্যক্রম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার পিএসটিসির ইউনাইট ফর বডি রাইটস’র (ইউবিআর) প্রকল্পের আওতায় নগরীর নন্দনকাননের ফুলকি স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



সকাল ১১টায় জাতীয় সংঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে যুব মেলা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজীমুল ইসলাম, উপ-সচিব ড. মাহাবুব হাসান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা অধ্যাপক মু. শহিদুল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালকশেখ মোঃ রুকুনউদ্দিন এবং যুব অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. মোখলেসুর বহমান উপস্থিত ছিলেন।


উদোধন পরবর্তী নারীদের বয়সন্ধি এক আলোচনা সভায় কাজী নাজীমুল ইসলাম বলেন, বয়ঃসন্ধিকাল একটি গুরুত্বপূর্ন সময় কিন্তু এইসময়েই আমরা অনেক কিছু জানতে পারি না। কিন্তু আমাদের জানার সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার মনে করে শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা জররী। আর এই কারণে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনীতে শারীরিক স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক পাঠ সংযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো এখন শিক্ষা আলোচনায় আসছে। তবে আধুনিক শিক্ষা,নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় এবং পূর্নাঙ্গ শিক্ষা শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দিতে হবে।

মো. মাহাবুব হাসান বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যায় তরুন জনগোষ্ঠী বেশি। স্কুলে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হচ্ছে ও শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এইক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে এই বিষয়গুলো স্পর্শকাতর। পিএসটিসি এই বিষয়গলো সম্পর্কে আলোচনা করে এবং শিক্ষকদেরকে অবগত করেছে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলার জন্য।

 অধ্যাপক মু. শহিদুল্লাহ বলেন, যুবরা হচ্ছে জাতির চালিকা শক্তি। নিজেদের জন্য তারা যদি সচেতন না হয় তাহলে তারা গড়ে উঠতে পারবেনা।

শেখ মো. রুকুনউদ্দিন বলেন, "আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তারা নেতৃত্ব দেবে। ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের চিন্তার বিকাশ হচ্ছে। তাদের অগ্রসরতাকে সফল করার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, যুবদের সংজ্ঞায়িত করছি বয়সের ফ্রেমে। এই বয়স আমরা সবাই পার করেছি। এই বয়সেই সচেতন হতে হবে। ইউবিআর নামটির মধ্যেই এক ধরনের কর্তব্য আছে। আমাদের সমাজকে একাত্ম করার জন্য আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে।

ইয়ুথ ফোরামের চেয়ারপার্সনের যুব প্রতিনিধি উম্মে হাবিবা জেরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিএসটিসির ইউবিআর প্রকল্প চট্টগ্রামের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর সৈয়দ মো. নুরউদ্দিন, ফিজিশিয়ান ডা. শারমিন জাহান হক এবং ইয়ুথ অফিসার নূর মো. ফেরদৌস প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং স্লাইড শো এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।   যুবমেলার সমাপ্তি হয় পুরষ্কার বিতরনীর মাধ্যমে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।