ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সার্চ বোটের প্রথম অভিযানেই সফল র‌্যাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
সার্চ বোটের প্রথম অভিযানেই সফল র‌্যাব

চট্টগ্রাম: গভীর সাগরে অভিযান চালানোর জন্য এক মাস আগে অত্যাধুনিক নৌযান ‘সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোট’ পেয়েছে র‌্যাব।   সেই বোট দিয়ে প্রথম অভিযানেই ‍সাফল্য পেয়েছে  র‌্যাব।

  সার্চ বোট দিয়ে বর্হিনোঙ্গর থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে দশ ল‍াখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাবের অভিযানে আটক ইয়াবার মধ্যে দশ লাখ পিসের এ চালানটি সবচেয়ে বড় চালান।
  চট্টগ্রামে র‌্যাবের যানবাহনের বহরে সার্চ বোট সংযোজিত হওয়ায় এত বড় একটি চালান আটক করা গেছে বলে মনে করছেন এলিট ফোর্সটির কর্মকর্তারা।  

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাতে গভীর সাগরে এফভি ইমন নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে তাড়া করে দশ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব।   এসময় আটজনকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারি পরিচালক এএসপি আমিরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সার্চ বোট পাবার পর গতকাল (মঙ্গলবার) সেটি দিয়ে প্রথম সাগরে অভিযান চালানো হয়েছে।   বর্হিনোঙ্গর থেকে গভীর সাগরে ধাওয়া দিয়ে ট্রলারটিকে আটক করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।   সার্চ বোট যদি আমাদের না থাকত, তবে ট্রলারটিকে আটক করা সম্ভব হত না।

২ ডিসেম্বর র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কাছে সার্চ বোট হস্তান্তর করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।   স্বাভাবিক সময়ে সাগরে অপরাধ দমনে অভিযান চালানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই বোট উদ্ধার কাজে ব্যবহারের কথা রয়েছে।

র‌্যাবের কর্মকর্তারা ‍জানিয়েছেন, সার্চ বোট পাবার আগে র‌্যাবকে গভীর সাগরে অভিযান নৌযান ভাড়া করে যেতে হত।   অনেক সময় সোর্সের কাছ থেকে তথ্য পেয়েও সাগরে যেতে দেরি হওয়ায় অভিযান সফল হয়নি।   রেসকিউ বোট পাওয়ায় সেই সমস্যা কিছুটা কেটেছে।

তবে এএসপি আমিরউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মায়ানমার থেকে সরাসরি নৌপথ ব্যবহার করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।   সার্চ বোটের মতো আরও কয়েকটি নৌযান পেলে সাগরে অভিযান আরও জোরদার করা যাবে।  

মঙ্গলবার র‌্যাবের অভিযানে আটক আটজন হল, কক্সবাজারের আব্দুস সালাম মাঝি (৫৫), শফিক (৩৫), আব্দুর রহিম বার্মা (৩০), জয়নাল আবেদিন (২৫), সৈয়দ আলম (৩৫), মফিজ (৩০), ইসলাম ‍মামুন (২৭) এবং মায়ানমারের নাগরিক মো. কামাল (৪২)।

র‌্যাব জানিয়েছে, এফভি ইমন ট্রলারটি মায়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে চট্টগ্রামে আসছিল।   চট্টগ্রামে সেগুলো খালাস করে তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের কথা ছিল।   ইয়াবাগুলো রাখা হয়েছিল ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজে।

জয়নাল আবেদিন এবং সৈয়দ আলম দু’জন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।   জয়নাল মূলত তার মামাত ভাই মফিজের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে ইয়াবা দেশে আনে।   সৈয়দ আলমের ট্রলার তারা ব্যবহার করে।   এফভি ইমনের মালিক সৈয়দ আলম।  

ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে সাড়ে ১৪ লাখ ইয়াবা তারা মায়ানমার থেকে দেশে এনে পাচার করেছে বলেও তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
আরডিজি/টিসি

** ১০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার, ট্রলার মালিকসহ আটক ৮

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।