রোববার (১ জানুয়ারি) অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বাসায় যান মরদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক টিম।
সেখানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ ছাড়াও আরও সাত চিকিত্সক ছিলেন।
এছাড়াও দিয়াজের মামলার দায়িত্বে থাকা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের এএসপি অহিদুর রহমান ছাড়াও হাটহাজারী থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দেখে এ সময় দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী কান্না করে বলেন, ‘ছেলে দিয়াজ ইরফান চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করবে। তারপর ছেলের জন্য বউ আনবো। এতগুলো মানুষ-তো আমার ছেলে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বিয়েতে হওয়ার কথা ছিল। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দিয়াজ হত্যার ৩৭ দিনের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও তার অনুসারীরা বলে, ‘জুনিয়ররা মারধর করার কারণে অপমানিত হয়ে নাকি আমার ছেলে আত্মহত্যা করছে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মত ছেলে না। ’
দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘টিপু ও সুজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়ার সময়-তো তারা দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত চায়। ৩৭ দিন পর এসে তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে এমন কথা কেন বললো?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বাংলানিউজকে বলেন, ‘তারাইতো সবকিছু বলছে। তারা আমাদের এই ঘটনায় জড়িয়েছে। তারা মানসিক রোগী, তাদের উচিত মানসিক চিকিত্সা করা। ’
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনাস্থল দেখল ময়নাতদন্তকারী টিম
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
টিএইচ/টিসি