একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলে দিয়াজের অনুসারীদের বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দিয়াজের বাসা পরিদর্শন শেষে রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেল চারটার সময় ওই চিকিৎসক দল প্রথম ময়নাতদন্ত করা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আসেন।
এতে কামরুল ও রিয়াদ নামে দিয়াজের দুই অনুসারী আহত হন। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দিয়াজের অনুসারীরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিয়াজের অনুসারীরা চমেক হাসপাতালে অবস্থান করেছে শুনে এই শাখার ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে তাদের উপর হামলা চালান।
এ বিষয়ে দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার নিপা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক টিমের সঙ্গে আমরাও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরাও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এ খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের নেতা ও চমেক হাসপাতাল ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতারা জড়ো হয়ে পুলিশ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ আমাদের পরিবারের দুই সদস্যকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু অন্যান্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। এ বিষয়টি দেখে ঢাকা থেকে আসা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক টিম পরে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা পরে খবর নিয়ে জেনেছি হামলাকারীরা চমেক হাসপাতালের ছাত্র সংসদের ভিপি নাবিদ আনজুম তানভীর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী। হামলার সময় ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেন নাবিদ আনজুম তানভীর।
তবে এ বিষয়ে জানতে চমেক হাসপাতালের ছাত্র সংসদের ভিপি নাবিদ আনজুম তানভিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
একই বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।
এদিকে একইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলে দিয়াজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান করা বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই পক্ষের নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ মামুন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তকারী টিম ক্যাম্পাসে আসার পর হত্যা মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আলমগীর টিপুর নেতৃত্বে আমাদের নেতাকর্মীদের অবস্থান করা বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করে ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। পাশাপাশি তারা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চমেক হাসপাতালেও হামলা চালায়। তারা দিয়াজ হত্যা মামলাকে সম্পূর্ণ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও আমরা যাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তার হত্যার বিচার চাইতে না পারি এ জন্য তারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তবে হলে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘এরকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আমাদের কেউ এরকম ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
টিএইচ/টিসি