পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) বেলা দুইটা থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। এ সময় এনায়েতবাজার ও গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের বিভিন্ন ঘর-বাড়ি ও দোকানে গিয়ে ময়লা-আবর্জনা চসিকের সরবরাহ করা ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিক বিনে (পাত্র) রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন।
শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে নগরীর ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলি, ৩১ নম্বর আলকরণ এবং ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়। ১৮০টি রিকশাভ্যান রাত পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ করেছে।
তিনি জানান, আমরা যাদের বিন সরবরাহ করেছি সেগুলো সরেজমিন গিয়ে দেখেছি। নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ময়লা-আবর্জনা বিনে ফেলছেন। তারা ফেলছেন না তাদের সতর্ক করেছি। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা, কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সংকট, অসহযোগিতা বা নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো আমরা মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে শেয়ার করবো। এরপর তার নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বিতীয় দিন থেকে পুরোদমে মাঠে নামবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে শৈবাল দাশ সুমন বলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে নির্দিষ্ট বিনে বর্জ্য ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। এসব ওয়ার্ডে করপোরেশনের কর্মচারী ছাড়া কেউ ডাস্টবিনে বা উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলতে পারবেন না। যদি ফেলেন তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) থেকে প্রয়োজনে চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান শৈবাল দাশ সুমন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এআর/টিসি