চট্টগ্রাম প্রতিদিন
মনীষিদের জীবন ও কর্ম নিয়ে কনফিডেন্স সিমেন্টের বর্ষপঞ্জিকা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: ঐতিহ্যের হাত ধরে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড এবারও বাংলাদেশের ৬ জন প্রয়াত ঔপন্যাসিক এবং তাঁদের ৬টি উপন্যাস এবারের বর্ষপঞ্জি ২০১৭-তে উপস্থাপন করেছে। প্রতিবছর বর্ষপঞ্জিতে বাঙালি মনীষিদের জীবন ও কর্মের মূল্যায়নের মাধ্যমে সমাজকে শেকড় সন্ধানী করে তোলার প্রয়াসে কনফিডেন্স সিমেন্ট অনবদ্য ভূমিকা রাখছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে দেশের সর্বপ্রথম বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের বর্ষপঞ্জি-২০১৭ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত এসব মন্তব্য করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রাক্তন লায়ন্স জেলা গভর্নর লায়ন রূপম কিশোর বড়–য়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানির পরিচালক শাহ এম হাসান, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কবি ও ঔপন্যাসিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও কবি-অধ্যাপক ফাউজুল কবির। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক জহির উদ্দিন আহমদ।
বক্তারা আরও বলেন, প্রাচীন বাংলাসাহিত্য থেকে সাম্প্রতিকালের সাহিত্য লক্ষ্য করলেই এই দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, মানুষ নিজেদের জীবন বৈচিত্র্য সর্ম্পকে যেভাবে চিন্তা করে তা প্রকাশিত হয় উপন্যাসে অর্থাৎ সাহিত্যে গৃহীত কাহিনী, চরিত্র বিন্যাস, পরিবেশ বর্ণনা, উপমা-রূপক প্রয়োগে সমাজের সাংস্কৃতিক রূপ প্রত্যক্ষভাবে প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে বাংলা উপন্যাস আঙ্গিক ও শিল্পগত রূপের দিক থেকে পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হয়। তিনি প্যারীচাঁদের মিশ্রিত চলিত রূপের পরিবর্তে সাধুরূপের সাহিত্যিক রূপ দিয়ে উপন্যাসে ব্যবহার করেছেন।
আবহমান বাংলা ও বাঙালির অন্যতম সেরা ভাষাশিল্পী সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তাঁর রচনা বাঙ্গালিমাত্রকেই নতুনতর উপলব্ধিতে পৌঁছে দেয়। এই বর্ষপঞ্জি মূদ্রণ চলাকালীন সময়ে (২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর) তাঁর মহাপ্রয়াণ হয়। তাই এবারের বর্ষপঞ্জি ২০১৭ বাংলাদেশের ঔপন্যাসিক ও উপন্যাস উপস্থাপনাটি তাকে নিবেদন করা হয়েছে।
এবারের বর্ষপঞ্জিকায় কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড বাংলাদেশের ৬ জন প্রয়াত ঔপন্যাসিক এবং তাঁদের ৬টি উপন্যাস বর্ষপঞ্জি ২০১৭-তে উপস্থাপন করেছে। তারা হলেন: অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১৯১৪-১৯৫১) : তিতাস একটি নদীর নাম, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৯২২-১৯৭১) : লালসালু, আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩) : সূর্য দীঘল বাড়ী, জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২) : আরেক ফাল্গুন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) : চিলেকোঠার সেপাই এবং হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২) : নন্দিত নরকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।