চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর তারা এ স্মারকলিপি দেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত মানববন্ধন ও সমাবেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি রণজিৎ নাথের সভাপতিত্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্যমূলক শিক্ষার অবসানে শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। দেশের ৯৫ শতাংশ শিক্ষার দায়িত্ব পালন করেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার।
সমযোগ্যতা, সমদায়িত্ব ও সমঅভিজ্ঞতা নিয়েও তারা চরম অবহেলার শিকার। তারা চরম অর্থনৈতিক ও পেশাগত বৈষম্যের শিকার। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা ন্যূনতম। উৎসব ভাতা পায় মূল বেতনের ২৫ শতাংশ। নেই কোন পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট ও পেনশন সুবিধা। এখনো লক্ষাধিক শিক্ষক এমপিও বিহীন থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
৮ম পে-স্কেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন স্কেলের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখীভাতা এখনও কার্যকর না হওয়ায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বঞ্চিত।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, বাশিস বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, উপদেষ্টা শান্তিরঞ্জন চক্রবর্তী, মনিকা সেন, বিচিত্রা চৌধুরী, নুরুল হক সিদ্দিকী, মো. জানে আলম, খুরশীদ রোকেয়া, মো. মাঈনউদ্দীন, মো. মেজবাহ, সুভাষ চৌধুরী, স্বপ্না বড়ুয়া, মো. জাকের হোসেন, মো. ফিরোজ চৌধুরী, নির্মল কান্তি দাশ, মো. সেলিম, মুকুল ভট্টাচার্য, শ্যামল দে, বরুণ চক্রবর্তী, রতন চৌধুরী, মো. মহসিন, মো. আবু বক্কর, আমির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসবি/টিসি