এদিকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে দেরি ও ত্রুটিপূর্ণ এজাহার নেওয়ার অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছৈয়দুল মোস্তফাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, সার্বিক বিষয়ে কারো কোন গাফেলতি আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তানভীর।
এর আগে সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তানভীর নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এক আদেশে কর্ণফুলীর ওসিকে পাঁচদিনের মধ্যে শোকজের জবাব লিখিতভাবে দিতে বলেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।
এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী। তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
গত ২৫ ডিসেম্বর এই ঘটনার অগ্রগতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন উর রশিদ হাযারী সিএমপির ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন। এরপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
তদন্তে নেমে পিবিআই এই পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে যাদের মধ্যে দুজন আদালতে দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তবে কর্ণফুলী থানার গ্রেফতার করা তিনজনের কারো নাম পিবিআইয়ের গ্রেফতার করা দুজনের জবানবন্দিতে আসেনি বলে জানিয়েছে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি