ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চার নারী ধর্ষণ

গাফেলতি তদন্তে সিএমপির কমিটি, ওসিকে শোকজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
গাফেলতি তদন্তে সিএমপির কমিটি, ওসিকে শোকজ লোগো

চট্টগ্রাম: নগরীতে প্রবাসীর বাড়িতে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় কর্ণফুলী থানার কোন গাফেলতি আছে কি-না সেটা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।  নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) আরেফিন জুয়েলকে প্রধান করে কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহেদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।

এদিকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে দেরি ও ত্রুটিপূর্ণ এজাহার নেওয়ার অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছৈয়দুল মোস্তফাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, সার্বিক বিষয়ে কারো কোন গাফেলতি আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

  ডিসি-পোর্ট সাহেব কমিটি করেছেন এবং প্রতিবেদন পুলিশ কমিশনার মহোদয়কে দাখিলের কথা বলা হয়েছে। কমিটি প্রধানের স্বাক্ষরেও প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে অথবা দুজনের স্বাক্ষরেও দেওয়া যাবে।

কমিটিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তানভীর।

এর আগে সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তানভীর নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এক আদেশে কর্ণফুলীর ওসিকে পাঁচদিনের মধ্যে শোকজের জবাব লিখিতভাবে দিতে বলেছেন।

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা।   চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।

এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী।   তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়।   ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

গত ২৫ ডিসেম্বর এই ঘটনার অগ্রগতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন উর রশিদ হাযারী সিএমপির ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন।   এরপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

তদন্তে নেমে পিবিআই এই পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে যাদের মধ্যে দুজন আদালতে দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তবে কর্ণফুলী থানার গ্রেফতার করা তিনজনের কারো নাম পিবিআইয়ের গ্রেফতার করা দুজনের জবানবন্দিতে আসেনি বলে জানিয়েছে পিবিআই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।