এতে বিপাকে পড়েছেন নবজাতক থেকে শুরু করে ১৫ মাস বয়সী শিশুর অভিভাবক এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী কিশোরী ও গর্ভবতী নারীরা। দুই দিনে প্রচুর নারী ও শিশু টিকাদান কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরে গেছেন।
বছরের প্রথম দিন সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম জেলার উপজেলাগুলোতে বন্ধ রয়েছে টিকাদান কেন্দ্র গুলো। মঙ্গলবারও (২ জানুয়ারি) দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বোয়ালখালী শাখার উদ্যোগে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সহকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন দাবি লেখা ফেস্টুন ও ব্যানার।
উপজেলায় সব টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে হেলথ্ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বোয়ালখালী শাখার সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রাসেল বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিসহ কর্মবিরতি চলবে।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক করিমুন্নেছা, প্রচার সম্পাদক রুমি আকতার, অর্থ সম্পাদক আমির হোসেন, উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম, দিদারুল আলম, ইকতিয়ার, আলতাফ, সুমন দাশ প্রমুখ।
আনোয়ার হোসেন লিটন বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে ৬ হাজার ১১টি অস্থায়ী ১৯টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শূন্য থেকে ১৫ মাস বয়সী ৯৩ হাজার ৩৬০ শিশু এবং ১৫-৪৯ মাস বয়সী ৯৮ হাজার ৩১৭ জন কিশোরী ও নারীকে টিকা দিই পাঁচ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত টিকাদান থেকে বিরত থাকব আমরা।
সারা দেশে ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর টিকাদান কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে চার দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে শুনেছি। নগরীর সব টিকাদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এআর/টিসি