ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযানের শুরুতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে ভবনের ভেতরে আস্তানায় থাকা জঙ্গিরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় সোয়াট টিম।
মৃত্যুর পরোয়া না করে সাহসিকতার সঙ্গে অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন পরিচালনার জন্য এসপি মিনা এবার পাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)। ৮ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপিএম ব্যাজ পরিয়ে দেবেন।
একই অভিযানে সাহসী ভূমিকা রাখায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলামও বিপিএম পদক পাচ্ছেন। পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি হওয়া শফিকুল বর্তমানে অ্যান্টি টেরোজিম ইউনিটের প্রধান।
প্রথমবারের মতো বিপিএম প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে এসপি নূরে আলম মিনা বাংলানিউজকে বলেন, সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি, এতেই সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। পুরস্কার বড় বিষয় নয়। তবে এই স্বীকৃতি আমার কাজের স্পৃহা বাড়াবে নি:সন্দেহে।
চট্টগ্রামে এবং কক্সবাজারে দায়িত্ব পালনের সময় আরো কয়েকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে এসপি জানান।
সীতাকুণ্ডের সেই জঙ্গি আস্তানায় জিম্মি অবস্থা থেকে নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ ২১ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সুইসাইডাল ভেস্ট শরীরে বেঁধে জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়।
২০ মার্চ পর্যন্ত ওই আস্তানায় তল্লাশি করে ১০টি গ্রেনেড, ০৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৩২টি গ্রেনেড তৈরীর ডাইস, ২৮টি গ্রেনেড তৈরী ডাইসের ঢাকনাসহ বিপুল বিস্ফোরক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সেই অভিযানে সোয়াট টিমের চট্টগ্রামের কমান্ডার সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সায়েম মাহমুদ এবং এটিএসআই জিহাদ হোসেন আহত হন। তারাও পাচ্ছেন পিপিএম।
গোপালগঞ্জের সন্তান নূরে আলম মিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৮ সালে তিনি যোগ দেন পুলিশ বাহিনীতে।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই নূরে আলম মিনা চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সালে তিনি পিপিএম পেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
আরডিজি/টিসি