তবে সোমবার (১ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মিয়া জাহান স্বাক্ষরিত দফতরাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বরাদ্দাদেশ পুল বিধি অনুসরণ না করা এবং স্টেশন মাস্টারদের আবাসন সমস্যা থাকায় বরাদ্দাদেশ বাতিল করা হলো। ’
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোখলেছুর রহমান অভিযোগ করেন, নিরাপদ ট্রেন চলাচল মনিটরিং এর কাজ উপেক্ষা রেলের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের মন্ত্রীর বাসায় ডেকে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন রেলমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মোখলেছুর রহমান অবসরে থাকলেও তার সন্তান মো.রবিউল হোসেন জুনিয়র অডিটর হিসেবে এসবিএ শাখায় চাকরি করছেন।
২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বয়লার এভিনিউ কলোনির পরিবহন পোলভুক্ত রেলের (টি/১৩-এ) বাসাটি বরাদ্দ দেওয়া হয় রবিউলকে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছিল বলেও সেদিন বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। একদিন পরই মোখলেছুর রহমানের ছেলের বাসা বরাদ্দ বাতিলের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই রবিউলের বাসা বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। দফতরাদেশে বরাদ্দাদেশ পুল বিধি অনুসরণ না করার কথা উল্লেখ করা হলেও রেলে অধিকাংশ বাসা এভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রোববারের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ৮৬৫ জন খালাসি নিয়োগ প্রক্রিয়া ঢাকায় মন্ত্রীর বাসায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এজন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো.আবদুল হাই, নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পশ্চিম) মিজানুর রহমান, কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামকে গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মন্ত্রীর বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মন্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়া অন্যান্য নিয়োগ ও অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
এমইউ/টিসি