মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শওকত ওসমানের ১০১ তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শওকত ওসমান শুধু বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল ছিলেন না, বরং ১৯৪৭ সালের পর বাঙালির জাতীয়তাবোধ উন্মেষ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য যে লড়াই শত বৎসর ধরে করে আসছিলো- তারই ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি ও সাহিত্যে শওকত ওসমান ও সমসাময়িকদের আবির্ভাব হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, শওকত ওসমানের সাহিত্যে দরিদ্র, নির্যাতিত বাঙালির বেদনা ও সংগ্রাম উঠে এসেছে। তিনি সেটাকে চিত্রায়িত করেছেন অদম্য শৈল্পিকতায়।
তাঁর শিক্ষকতা, সাহিত্য চর্চা ও মানবিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে।
‘শতাব্দী পেরিয়ে শওকত ওসমান’ শিরোনামে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী।
কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামলের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, নারীনেত্রী মমতাজ খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেওয়ান মাকসুদ, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ফরিদ মাহমুদ, স্মৃতি পরিষদের কর্মকর্তা এস এম সাঈদ সুমন ও শেখ নাছির আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
আরডিজি/টিসি