ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মহিউদ্দিন চট্টগ্রামকে ভালোবেসে মন্ত্রিত্ব নেননি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
‘মহিউদ্দিন চট্টগ্রামকে ভালোবেসে মন্ত্রিত্ব নেননি’ বক্তব্য দিচ্ছেন মনজুরুল আহসান বুলবুল

চট্টগ্রাম: এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামকে ভালোবেসে, আমৃত্যু চট্টগ্রামবাসীর কাছে থাকার জন্য মন্ত্রিত্ব নেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টল বীর খ্যাত সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সবাই নেতা হয় না।

ভোটে পদ পাওয়া যায় শুধু। নেতা হওয়া যায় না।
মহিউদ্দিন বড় মাপের মানুষ, গণমানুষের নেতা। তিনি দেশকে ভালাে বেসেছিলেন। দেশের মানুষ তাকে চিনতেন। চট্টগ্রাম ও মহিউদ্দিন একাত্ম।

তিনি 'সাংবাদিকদের মহিউদ্দিন ভাই' নামে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের জন্য প্রেসক্লাব ও সিইউজের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এ সভার আয়োজন করে। গত ১৫ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন চৌধুরী চিরবিদায় নেন।

সভায় 'সাংবাদিক-বান্ধব' মহিউদ্দিন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক।

ওমর ফারুক বলেন, মহিউদ্দিন শুধু চট্টগ্রামের নেতা ছিলেন না। চট্টগ্রামে তিনি কী করলেন তা সাতক্ষীরা, পঞ্চগড়ের মানুষ ভাবতেন। তিনি ছিলেন জাতীয় নেতা। মহিউদ্দিন কী ভাবছেনন সেটি বিবেচনায় নিয়ে নীতিনির্ধারকরা চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রামের উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিতেন।

তিনি বলেন, মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বন্ধু ছিলেন। তার সন্তানদেরও চট্টগ্রামের মানুষের পাশে, সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

শাবান মাহমুদ বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী আপসহীন নেতা। বারবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি অমর চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে। মহানুভবতা দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর ওপর অধিকার অর্জন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর প্রমাণ হয়েছে তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের নেতা।

বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদ উল আলমের সভাপতিত্বে সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার,  সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক মোয়াজ্জেমুল হক, এম নাসিরুল হক, সমীর বড়ুয়া, মোস্তাক আহমেদ, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ ভট্টাচার্য, ফারমিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. আহমেদ রবিন প্রমুখ।

কলিম সরওয়ার বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করবে।

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী টানেলের নাম মহিউদ্দিনের নামে করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।   চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তার স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য কী করা যায় সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

তপন চক্রবর্তী মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডশনের উদ্যোগ ও সিইউজের তত্ত্বাবধানে 'সাহসী সাংবাদিক' পুরস্কার প্রবর্তন এবং প্রেসক্লাব চত্বরে মহিউদ্দিনের আবক্ষমূর্তি স্থাপনের আহ্বান জানান।

সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে লেখা কবিতা পড়েন নাজিমুদ্দিন শ্যামল। কবিতাটি তুলে দেওয়া হয় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।