দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বুধবার (০৩ জানুয়ারি) ইলিয়াস চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহ নূরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু।
২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে দুবাই হয়ে আসা এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের এক যাত্রী লাগেজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিলেন।
এসময় বিমানবন্দরে কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান এবং মোমেন মকসুদ বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোমেন মকসুদের বিরুদ্ধে ওই লাগেজের মালিককে গ্রেফতার এড়িয়ে নিরাপদে বিমানবন্দর পার করে দেবার অভিযোগ উঠেছিল।
স্বর্ণের বার আটকের ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল।
স্বর্ণের চালানটি দেশে আনার জন্য বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জড়িত আছে এমন অভিযোগ উঠার পর অনুসন্ধানে নামে দুদক।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রহমতউল্লাহ বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা করেন। এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন, কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী মোমেন মকসুদ, আনসারের এপিসি ইলিয়াস, আনসার সদস্য মাহফুজার ও শাহিন, বিমানের ট্রাফিক হেল্পার নুরুদ্দন এবং লাগেজের মালিক আলাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
আরডিজি/টিসি