বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার সায়েদাবাদ বাসস্টেশন থেকে জহিরুলকে আটক করা হয়েছে। এই নিয়ে পিবিআই চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, মিজান মাতব্বরের জবানবন্দিতে মাইদুল নামে এক যুবকের কথা এসেছিল। মাইদুলের সঙ্গে এক যুবক সেখানে গিয়েছিলেন এমন তথ্য আছে।
প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) প্রাপ্তি উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থান করা সন্তোষ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
‘মাইদুলের সঙ্গে ঘটনার আগে-পরে একাধিকবার যোগাযোগ ছিল জহিরুলের। সেই সূত্রেই আমরা জহিরুলের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছি। ’ বলেন সন্তোষ কুমার চাকমা
জহিরুল ঝালকাঠি জেলার সুতালরি থানার কৃঞ্চকাঠি গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে।
সন্তোষ জানান, আটকের পর জহিরুলকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।
এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়।
২৬ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। ওইদিনই মিজান মাতব্বর ও আবু সামা নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৭ ডিসেম্বর হান্নান মেম্বার নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে যাকে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জানিয়েছে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
আরডিজি/টিসি