ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মরে ভেসে উঠল হালদার ‘লাল তালিকা’র ডলফিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
মরে ভেসে উঠল হালদার ‘লাল তালিকা’র ডলফিন মরে ভেসে উঠল হালদার ‘লাল তালিকা’র ডলফিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মরে ভেসে উঠেছে একটি বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন। ৭ ফুট লম্বা ডলফিনটির ওজন প্রায় দুই মণ। বর্তমানে ডলফিনটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে কঙ্কাল সংগ্রহের জন্য।  

বুধবার (৩ জানুয়ারি) হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা স্লুইসগেট এলাকা থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত বিপন্ন প্রজাতির এ জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীটি মারা যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।

হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকা এ শিক্ষক বাংলানিউজকে জানান, ডলফিনটি মরে ভেসে উঠেছিল। হয়তো কয়েকদিন আগে কোনো বালু তোলার ড্রেজার বা যন্ত্রচালিত বড় নৌযানের প্রপেলারের সঙ্গে লেগে আঘাতের কারণে মারা যেতে পারে।

এটি অশনি সংকেত। তিন মাসে অন্তত ১০টি ডলফিন মারা গেছে হালদায় এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে। যেখানে ডলফিন মারা পড়ছে সেখানে বড় বড় রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মাছও হয়তো মারা পড়ছে। কিন্ত‍ু সেগুলো মানুষ খাওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা জানছি না। হালদার জীববৈচিত্র্য নানা কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।    

তিনি জানান, আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত এ ডলফিন বিশ্বে হয়তো ১১-১২শ’টি আছে। এর মধ্যে হালদায় আছে ২০০-২৫০টি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডলফিনটি বড় হওয়ায় সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। তাই আমরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সেটি মাটি চাপা দিয়ে রাখতে বলেছি। পরে কঙ্কালটি তুলে সংরক্ষণ ও গবেষণা করা যাবে।  

হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ডলফিনটি সাত্তারঘাট এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।    

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।