ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্কুলকেই শিক্ষার মূল কেন্দ্র চান অভিভাবকেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৮
স্কুলকেই শিক্ষার মূল কেন্দ্র চান অভিভাবকেরা স্কুলকে শিক্ষার মূল কেন্দ্র করার দাবিতে অভিভাবকদের মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে স্কুলেই শিক্ষার মূল কেন্দ্র চেয়েছে অভিভাবকেরা। ‘শিক্ষা ব্যবসা বিরোধী সচেতন অভিভাবকবৃন্দ-চট্টগ্রাম’ এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান। 

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে নগরীর চেরাগীমোড়ে অভিভাবক মহুয়া ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. রত্না ভট্টাচার্য্য, ঝুলন চৌধুরী, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, সংগঠক মো. জাহেদ, মুক্তা ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে আমরা (অভিভাবক) চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে আছি।

একদিকে শিক্ষার খরচ বাড়ছে। অন্যদিকে, বাড়ছে পরীক্ষা ও পড়ার চাপ।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো স্কুলে পড়াশোনা হয় না। ফলে সিলেবাস শেষ ও ভালো ফলাফলের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলোর উপর। সেই সুযোগে কোচিং সেন্টারগুলো করছে বাণিজ্য। স্কুলে যদি একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা একশভাগ নিশ্চিত করতে পারতো, তাহলে কোচিং প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।  

মানববন্ধন শেষে অভিভাবকেরা জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি-দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও স্টাফ অফিসার মো. রমিজ আলম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।  

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি স্কুল স্বল্প হওয়ায় প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোচিং সেন্টারগুলো বিশাল অঙ্কের ব্যবসা করছে। কোচিং সেন্টারগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রশ্ন ফাঁস, ফল ফাঁসসহ নানা রকম দুর্নীতি করছে। স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, সেই কারণে ক্লাস ঠিকমত হয় না। আমাদের সন্তানদের স্কুলেও উপস্থিত থাকতে হয়। আবার কোচিংয়ের ক্লাসেও বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হয়। ’

‘তাই পড়াশোনার বাইরে তাদের খেলাধূলা বা অন্য কোনো সৃজনশীল আয়োজনে থাকা সম্ভব নয়। আমরা উদ্বিগ্ন যে আমাদের শিশুদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে।  সন্তানদের সৃজনশীল মানুষ হিসেবে বড় করার জন্য কোচিং ব্যবসা বন্ধ করে স্কুলই যেন পড়াশোনার প্রধান কেন্দ্র হয়। ’ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিভাবকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসবি/আরআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।