বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় হানিফ বলেন, মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে উত্থাপিত হওয়ায় সবাই আশঙ্কা করছেন, বোধহয় বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তির রায় হতে পারে।
‘আমরা বলছি, বিচারের রায় যেটাই হোক না কেন মেনে নিতে হবে। আদালতের প্রতি যদি শ্রদ্ধা থাকে, বিচার ব্যবস্থার উপর যদি আস্থা থাকে তাহলে রায় মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, অপরাধী যে-ই হোক, তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সরকারের দায়িত্ব। মন্ত্রী কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলে বেগম খালেদা জিয়া আইনের উর্দ্ধে যেতে পারেন না। প্রত্যেকটা মানুষের অপরাধের বিচার হতে হবে।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তির আশঙ্কা থেকে বিএনপি নেতারা এখন সরকারকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। তারা বলছে সরকার নাকি রায় দিয়ে তাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চায়।
‘আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় কখনো হস্তক্ষেপ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। ’
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তি হলে সংবিধান অনুযায়ী যেটা হয় সেটাই হবে। এটা আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের বিষয় নয়।
জামায়াত ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীদের দল উল্লেখ করে হানিফ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যারা শিবিরের সঙ্গে জড়াচ্ছে তোমাদের তাদেরকে বলতে হবে- যদি কোন ছাত্র বিবেকবান সচেতন দেশপ্রেমিক হয়, তাহলে তারা জামায়াত-শিবিরের কর্মী হতে পারে না। তাদের যুদ্ধাপরাধীদের দল ছেড়ে চলে আসতে বল। কারণ দেশের জনগণ আর যুদ্ধাপরাধীদের দলের রাজনীতি দেখতে চায় না।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু এবং কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
আরডিজি/টিসি