ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধর্ষণে মিজান মাতব্বরও, সঙ্গে ইলিয়াছ-রুবেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৮
ধর্ষণে মিজান মাতব্বরও, সঙ্গে ইলিয়াছ-রুবেল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে নারীদের ধর্ষণের সঙ্গে তিনজন জড়িত থাকার তথ্য এসেছে গ্রেফতার হওয়া একজনের জবানবন্দিতে। জড়িত তিনজন হলেন, মিজান মাতব্বর, রুবেল এবং ইলিয়াছ।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামি জহিরুল ইসলাম হাওলাদার (২৬) নিজে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।   তবে ধর্ষণের সঙ্গে জহিরুল জড়িত নন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমান আসামি জহিরুলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ ‍কুমার চাকমা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে জহিরুল প্রবাসীর বাড়িতে প্রবেশ এবং ডাকাতি নিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।

 

এরপর জহিরুল বলেন, লুটপাট শেষ হওয়ার পর ইলিয়াছ একজন অল্পবয়সী মেয়ে এবং আরেকজন মহিলা নিয়ে একটি রুমের ভেতরে যায়।   এরপর মিজান মাতব্বর আমার কাছে টাকাপয়সার ব্যাগটি দেয় এবং সে অন্য একজন মহিলাকে নিয়ে আরেকটি রুমে যায়।   ১৫-২০ মিনিট পর ইলিয়াছ অল্পবয়সী মেয়েটিকে রেখে যায়।   রুবেল (পিবিআইয়ের তথ্যমতে মাইদুল) ওই মেয়েটিকে নিয়ে আরেকটি রুমে চলে যায়।  তখন আমি একজন বয়স্ক মহিলা, একজন গর্ভবতী মহিলা এবং বাচ্চাদের পাহারা দিই।  

কিছুক্ষণ পর মিজান মাতব্বর, রুবেল ও ইলিয়াছ রুম থেকে বের হয়ে আসে বলে জবানবন্দিতে জানান জহিরুল।   

সন্তোষ ‍কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, জহিরুলের জবানবন্দিতে তিনজন নারীকে ধর্ষণের বিষয় পাওয়া গেছে।   তবে আমাদের তদন্তে আমরা দুজনকে ধর্ষণের তথ্য পেয়েছি।   এছাড়া মিজান মাতব্বর জবানবন্দি দিয়ে সে ধর্ষণে জড়িত নয় বলে জানিয়েছিল।   কিন্তু জহিরুলের জবানবন্দিতে মিজানও ধর্ষণে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

জহিরুলের জবানবন্দি অনুযায়ী তিন ধর্ষকের মধ্যে রুবেল এবং ইলিয়াছকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।  

জবানবন্দিতে জহিরুল আরো জানিয়েছে, সে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লোকাল বাস চালক।   রুবেলও একজন বাসচালক।   রুবেলই তাকে ডাকাতির জন্য নিয়ে গিয়েছিল।

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।   বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। ওইদিনই মিজান মাতব্বর ও আবু সামা নামে দুজনকে গ্রেফতার করে।  গ্রেফতারের পর দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২৭ ডিসেম্বর হান্নান মেম্বার নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে যাকে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জানিয়েছে পিবিআই।   এরপর ৩ জানুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জহিরুল ইসলাম হাওলাদারকে।

চার নারী ধর্ষণে আরেক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ডাকাতির জন্য ঢুকে ধর্ষণে ৪ জন

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।