শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে পতেঙ্গার বিজয় নগর পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহার উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৯২-৯৩ সালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ শাহ আমানত বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তৎকালীন পোড়া পাড়ার (বর্তমান সম্প্রসারণকৃত বিমানবন্দর) সকল বাসিন্দাদের প্রায় ১০৫ একর পৈত্রিক ভূমি অধিগ্রহণ করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসতঘর ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করলেও ভিটার মূল্য গ্রহণ করেনি। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১৯৯৮ সালে বিজয়নগর এলাকায় পূণর্বাসন করা হয়। এতে ২৮ একর ভূমি নিয়ে বিজয় নগর গড়ে তোলা হয়। প্রায় ১৪ একর জায়গায় গড়ে উঠে বসত ভিটা। এরপর থেকে বিজয়নগরে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে পরিবারগুলো।
এসব বসতভিটার কিছু পরিবার বরাদ্দপত্র ও রেজিস্ট্রিশন পেয়েছে। কিন্তু শর্ত মোতাবেক বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দখল পেলেও এখনো সরকারি বরাদ্দপত্র ও রেজিস্ট্রি দেয়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রেশন না পাওয়ায় বরাদ্দপত্র পাওয়া ব্যক্তি মারা যাওয়ার প্রেক্ষিতে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এতে পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে বিজয় নগরে একপ্রকার উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট মো. জানে আলম, সংগঠনের সহ-সভাপতি ইউনুচ মাস্টার, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জাফর আহমদ, ইউনুছ ড্রাইভার, গোলাম হোসেন, ফজল করিম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইউচুপ, মো. হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমইউ/টিসি