রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বহদ্দারহাট পুলিশ বিট এলাকায় চাক্তাই খালের প্রবেশ মুখে খনন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এ সময় মেয়র বলেন, ভারী বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত অপসারণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে বর্ষার আগেই নগরীর খালগুলোর পলি, মাটি, বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, উন্নত দেশে মানুষ নালা-খালে বর্জ্য ফেলে না।
খাল খনন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বহদ্দারহাট থেকে চাক্তাই খালের পাড় ধরে হেঁটে চকবাজার ধুনীর পোল পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় মেয়র খালপাড়ে অপেক্ষমাণ মানুষকে খালে বর্জ্য না ফেলতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং চসিকের প্রকৌশলীকে দিকনির্দেশনা দেন।
এবার চসিক নগরীর ৫৭টি খাল সংস্কারের জন্য ৬টি জোনে ভাগ করে ৬ জন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দিয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মহেশ খাল, ডাইভারশন খাল, মহেশখালী খাল, নাসির খাল, রামপুর খাল, গয়নার ছড়া খাল, কুমার খাল (ড্রেজিং)ও পাকিজা খাল, কাট্টলী খাল (পরিষ্কারকরণ) মিলে ৯টি খালের ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহর দায়িত্বে পতেঙ্গা নিজাম মার্কেট খাল, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৬ (পরিষ্কারকরণ) ও ১৫ নম্বর খাল, গুপ্ত খাল, রুবি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি খাল (ড্রেজিং), নয়ার হাট খাল, ছাগলনাইয়া খাল, সৈকত খাল, স্লুইসগেট ১,২ ও ৮ নম্বর সংযুক্ত খালসহ (পরিষ্কারকরণ) মোট ১৬টি খালের ৪৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার অংশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদার তত্ত্বাবধানে সদরঘাট খাল ১,২ নম্বর,মোগলটুলী খাল, ফিরিঙ্গিবাজার খাল, টেকপাড়া খাল, কলাবাগিচা খাল ও মরিয়ম বিবি খাল (পরিষ্কারকরণ) মোট ৭টি খালের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার অংশ রয়েছে।
এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইনের তত্ত্বাবধানে চাক্তাই খাল, বদরখালী খাল, জামালখান খাল, চট্টেশ্বরী খাল, হিজড়া খাল, চাক্তাই ডাইভারশন খাল (পরিষ্কারকরণ), রাজাখালী খাল, রাজাখালী খাল-১, চাক্তাই থেকে রাজাখালী খাল (ড্রেজিং) ও বির্জা খাল (পরিষ্কারকরণ) মোট ১০টি খালের ২৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার অংশ, একই প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে বির্জা খাল, ডোমখালী খাল, বালুখালী খাল ,গেইট খাল, মির্জা খাল, ত্রিপুরা খাল, শীতল ঝর্ণা খাল, বামুনশাহী খাল, উত্তরা খাল (পরিষ্কারকরণ) ও নোয়া খাল (ড্রেজিং) সহ মোট ১০টি খালের ৩৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার অংশ এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ফরেস্ট খাল, কৃষ্ণখালী খাল, কুয়াইশ খাল, খন্দকিয়া খাল ও যুগীর খোল খালসহ ৫টি খালের ১৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার (পরিষ্কারকরণ) অংশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এআর/টিসি