সভায় রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, রেলের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.আবদুল হাই, পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.খায়রুল আলমসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে রেলের নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল।
নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তাই সবকিছুর খোঁজখবর রাখেন। লোকবল সংকটের কারণে যাতে রেল সেবা ব্যাহত না হয় সেজন্য দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করতে বলেছেন। এ বিষয়ে আমরা সোমবার বৈঠক ডেকেছি। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
রেলে দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৮ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আরও ৬ হাজার পদ খালি রয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব নিয়োগ মামলার কারণে আটকে আছে সেগুলো আমাদের আইনজীবী সমাধানের চেষ্টা করছেন। আদালতের নির্দেশনা পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবো। এছাড়া যেসব নিয়োগে কোন সমস্যা নেই সেগুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করবো।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.আবদুল হাই বাংলানিউজকে জানান, রেলের শূন্যপদগুলো পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার অনুশাসন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা বাস্তবায়ন করতে সোমবার রেলভবনের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মঞ্জুরিকৃত ২০ হাজার পদের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার পদই শূন্য। দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হলেও অনিয়ম, প্রশ্ন ফাঁস ও মামলায় আটকে আছে এ প্রক্রিয়া।
জানা গেছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৪টি বিভাগে মোট মঞ্জুরিকৃত পদ ছিল ১৯ হাজার ৬২৬টি। এর বিপরীতে কর্মরত ছিলেন ১২ হাজার ৯১৬ জন। সে হিসেবে শূন্য পড়ে আছে ৬ হাজার ৭১০টি পদ। সবচেয়ে বেশি শূন্য রয়েছে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশল, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট ও প্রধান প্রকৌশল বিভাগে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমইউ/টিসি