সোমবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায় এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফের মধ্যে চেম্বার বরাদ্দ নিয়ে বিরোধ এখন প্রকাশ্য।
সূত্রমতে, আইনজীবীদের জন্য নির্মিত শাপলা ও দোয়েল ভবনে চেম্বার বরাদ্দ, বিনিময় এবং স্থানান্তর চলছে।
এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ভারতে যান। তিনি ভারতে থাকাকালীন সভাপতি তার নির্দেশ প্রতিপালিত হয়নি এই কারণ দেখিয়ে ৮ জানুয়ারি (সোমবার) সমিতির ৩ নম্বর মিলনায়তনে সাধারণ সভা আহ্বান করেন।
এক মাস পর সভা আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, ১০ জানুয়ারি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির বার্ষিক বিভিন্ন কর্মসূচি আছে। এজন্য ২১ জানুয়ারি সভা আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু সভাপতি আমার অবর্তমানে ৮ জানুয়ারি সভা ডেকে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন।
সূত্রমতে, এর মধ্যেই আইনজীবী চেম্বার স্বার্থ রক্ষা কমিটি নামে সাধারণ আইনজীবীরা একটি সংগঠন গড়ে তুলেন যারা সভাপতির অবস্থানের বিরোধিতা করে আসছেন। তারাও ৮ জানুয়ারি একই স্থানে সভা আহ্বান করেন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে চেম্বার স্বার্থ রক্ষা কমিটি এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতির সমর্থক অংশটি একইসময় সভা করার জন্য তিন নম্বর মিলনায়তনে যায়। এসময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তবে জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চেম্বার স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বাংলানিউজকে বলেন, সমিতি চেম্বার বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা নিয়েছি। অথচ সভাপতি এখন টেন্ডারের কথা বলে সেই বরাদ্দ বাতিল চাচ্ছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বের জন্য তো আমরা দায়ী হতে পারি না। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে সভাপতির লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।
সভাপতির সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, চেম্বারগুলো তৈরির জন্য দেড় থেকে দুই কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সমিতিতে ছিল মাত্র ৩৩ লাখ টাকা। বাকি টাকার যোগান দিয়েছেন চেম্বার গ্রহীতা আইনজীবীরা। তারা নিজেরাই সরাসরি বারের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সভাপতি বলছেন বরাদ্দ বাতিল করে টেন্ডার আহ্বান করতে হবে। আমি বলেছি গঠনতন্ত্রে এরকম কোন বিধান নেই।
‘গত মাসে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। সভাপতি পেয়েছেন ২ ভোট, আমি পেয়েছি ১৭ ভোট। এরপরও সভাপতি বলছেন তিনি এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তিনি জোর করে আজ সভা করতে চেয়েছেন যেটা সাধারণ আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে করতে পারেননি। ২১ জানুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ’ বলেন হানিফ
এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও সভাপতি রতন কুমার রায় রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
আরডিজি/টিসি